'দুপুরে খেলে রাতে কীভাবে খাব জানি না'

, জাতীয়

মোঃ জুয়েল রানা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম | 2023-08-14 02:49:55

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। তাদের মধ্যে এমনই একজন জোছনা বেগম। বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ছত্রপুর জুম্মা পাড়া গ্রামে। কিছুদিন আগেও দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। স্বামী মো. বাচ্চু মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেক দিন ধরেই বিছানায়। করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিপাকে পড়েছেন তারা।

জোছনা বেগমের সাথে থাকেন এক ছেলে ও এক প্রতিবন্ধী মেয়ে। তাছাড়া, আরও ৪ মেয়ে রয়েছে তার। সবাইকে বিয়ে দিয়েছেন। আগে স্বামী সংসার চালাতেন। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর থেকে ৪ সদস্যের এই পরিবার চালান জোছনা বেগম নিজেই। করোনার কারণে কাজ নেই কোথাও এখন। অর্থ নেই, খাবার নেই।

তাদের সাথে কথা হলে জানা যায়, সরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা তারা এখনো পাননি। জোছনা বেগম বহুবার ত্রাণের আশায় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যর কাছে গিয়েছিলেন। বারবার হতাশ হয়ে ফিরেছেন। গত দুইদিন ধরে খাবার নাই। কয়েকটা বাঁশ বিক্রি করে দুই কেজি চাল কিনে খেয়েছেন তারা।

জোছনা বেগমের স্বামী বাচ্চু মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দুইদিন থেকে বাড়িতে খাবারও নাই। না খেয়ে আছি একমুঠো ত্রাণের চালও পাই নাই।

জোছনা বেগম বার্তা২৪.কম-কে জানান, এই ভাইরাসের কারণে বাইরে যেতে পারছি না। দুইদিন থেকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে না খেয়ে আছি। শেষ পর্যন্ত দুইটা বাঁশ কেটে বাজারে বিক্রি করে দুই কেজি চাল নিয়ে আসছি। রাতে খেয়েছি। দিনে খেলে শেষ আজ রাতে ছেলে-মেয়েকে কি খাওয়াবো তার কোন উপায় নাই।

স্থানীয় মো. সাজিদুল ইসলাম সাজু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বাচ্চু মিয়ার এক প্রতিবন্ধী মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তার স্ত্রী দিনমজুরির কাজ করে খুব কষ্ট করে চলে। এখন তো কোন কাজ নাই কি ভাবে যে চলছে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, যে বরাদ্দ পেয়েছি সেটা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দেয়া হয়েছে। আপনি মেম্বারকে বলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর