মেয়র আতিকের 'ভালোবাসার প্যাকেট' যাচ্ছে ঘরে ঘরে

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 13:54:36

আর মাস খানেকের মধ্যে মেয়রের চেয়ারে পুনরায় বসবেন ব্যবসায়ী নেতা মো. আতিকুল ইসলাম। তবে পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলছেন তিনি। বর্তমান করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির শুরু থেকেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নব নির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এবার সিটি নির্বাচনে তার স্লোগান ছিল ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’। এই স্লোগানকে মূলমন্ত্র ধরে কাজ শুরু করেছেন তিনি। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের কাছে তার ভালোবাসার উপহার চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অনেকটা চুপিসারেই কাজগুলো করছেন। কেউ সরাসরি মেয়রকে ফোন করে আবার কেউ তার সহকর্মীদের মাধ্যমে খবর পৌঁছে দিলেই মিলছে ভালোবাসার প্যাকেট।

মেয়র আতিকুল ইসলামের টার্গেট অন্তত ৪০ হাজার মানুষের কাছে এসব খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো। এরইমধ্যে ১৭ হাজার মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ডিএনসিসি এলাকার খিলক্ষেত, কুড়িল, জোয়ারসাহারা, ওলিপাড়া, জগন্নাথপুর, শ্যামলী, আদাবর, উত্তরা, বালুরঘাট ও মাটিকাটা এলাকার হতদরিদ্রদের মাঝে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে সহায়তা সামগ্রী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র আতিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কাজটি অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু মানুষের দুর্দশার কথা চিন্তা করে জনপ্রতিনিধি হিসেবে বসে থাকতে পারি না। প্রতিদিন আমার কাছে অসংখ্য ফোন আসছে। এরা কিন্তু সবাই দরিদ্র না, এই সময়ে কাজ নেই ঘরে বসে আছে, বাজার নেই। তারা কেউ বলতেও পারছে না, সহ্য করতেও পারছে না। এরকম বহু লোক আছে। তাদের বাসায় আমি গোপনে সহায়তা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। আমি নাম দিয়েছি ভালোবাসার উপহার। এটা নগরবাসীর প্রতি আমার ভালোবাসা। তারা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন আমি তাদের ভালোবাসা দিচ্ছি।’

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ বিতরণ করছেন মেয়র আতিক

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কিন্তু নির্বাচনে স্লোগান দিয়েছিলাম সবাই মিলে সবার ঢাকা। এখানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি হয়তো সবার কাছে পৌঁছাতে পারছি না। শহরে আরও সামর্থবান লোক আছে তারাও চাইলে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। আমরা বিডি ক্লিনের সহায়তায় ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।’

ফোন দিয়ে ত্রাণ সহায়তা নেয়া বাবু মন্ডল বলেন, ‘আমি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। লকডাউনের পর সবকিছু বন্ধ হয়ে গেছে। আমার কাছে যে টাকা ছিল, সেগুলো দিয়ে কয়েকদিন মোটামুটি চলেছি। আমার ৪ জনের পরিবার। এখন লকডাউনের সময়সীমা যেভাবে বর্ধিত হচ্ছে তাতে স্ত্রী, বাচ্চাদের নিয়ে টিকে থাকা কষ্টকর। জীবনে কখনো কারো কাছে সহায়তার জন্য বলি নাই। নিজে আয় করে কষ্টে হলেও থেকেছি। এবার উপায় না দেখে একজনের কাছে থেকে মেয়রের ফোন নম্বর যোগাড় করলাম। মেয়র আতিক সাহেবকে আমার কষ্টের কথা বললাম। মঙ্গলবার বিকেলে দেখি একটি প্রাইভেটকারে করে কিছু সহায়তা দিয়ে পাঠিয়েছেন এক ভদ্রলোককে। আমাকে ফোন করে বাসায় পৌঁছে দিলেন।’

মোহাম্মদপুর এলাকায় এরকম আরও কয়েক জনের পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন মেয়র আতিকুল ইসলামের লোকজন। ফোনে বাসার ঠিকানা নিয়ে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এসব খাদ্য সহায়তা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর