দেখা মেলে না চিরসবুজ সেই বেত ঝাড়ের

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2023-09-01 21:18:26

আবহমান গ্রাম বাংলার আনাচে-কানাচে ঝোপ-ঝাড়ে এক সময় বেড়ে উঠত বেত গাছ। অনেকটা অযত্ন-অবহেলায় বাড়ত এই গাছটি। তাই বলে বেতের কদর কিন্তু এতটুকু কম ছিল না। তখন এসব বেত হাটবাজারের পাশাপাশি শহরেও বিক্রি হতো। কালের বিবর্তনে এখন আর সহজে সেই চিরসবুজ বেত ঝাড়ের দেখা মেলে না।

তবে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধার জামালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে হঠাৎ একটি বেত ঝাড় চোখে পড়ে।

জানা গেছে, প্রায় দেড়যুগ আগেও গাইবান্ধার কৃষকদের পতিত জমিতে বিশাল বিশাল জঙ্গল ছিল। সেসব জঙ্গলে রোপণ ছাড়াই প্রকৃতির নিয়মেই বেত গাছ জন্মাত। আর কাঁটা ভরা লম্বা চিকন গাছে সবুজ পাতা অবিরাম দোল খেত।

মূলত আগে গ্রামে ব্যবহারের জন্য ওড়া, ঝাঁকা বা ধামা বা টুকরি, শীতল পাটি, নামাজের পাটি, ভাত খাওয়ার পাটি, হাত পাখা, হাতের লাঠি বেত দিয়ে তৈরি হতো। আর শহরের অভিজাত শ্রেণির জন্য বেতের চেয়ার, সোফা, দোলনা, ফুলদানি তৈরি হতো। এগুলো বিক্রি করে লাভবান হতেন বেতের পণ্য তৈরির কারিগররা। প্রতিটি বাড়িতে ওইসব পণ্যের প্রচুর চাহিদা ছিল। তবে ধীরে ধীরে এখন এসব পণ্যের কদর কমে গেছে।

একদিকে পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন করতে জঙ্গল কেটে ফেলছেন কৃষক। সেখানে এখন চাষ করা হচ্ছে নানা জাতের কৃষি ফসল।

অন্যদিকে বেতের সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে স্টিল, প্লাস্টিকের পণ্য-আসবাবপত্র। তাই আধুনিকতার প্রভাবে এখন বেতের পণ্যসামগ্রীর ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে। ফলে এর সঙ্গে যুক্তরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন।

আজিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এক সময় বেতের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি ও তা বিক্রি করে সংসার চালাতাম। তবে আধুনিক যুগে এগুলোর ব্যবহার না থাকায় বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে দিয়েছি।’

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন করতে জঙ্গল কেটে ফেলছে কৃষক। এ কারণে বেত ঝাড় কমে যাচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর