ভোলার বোরাহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে (সুয়োমোটো) মামলা করেছেন ভোলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
সরকারি চাল চুরি করা আসামিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করেছেন ভোলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ আলম।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বোরাহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বশির উদ্দিন গাজী এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণের চাল আত্মসাৎ করার অপরাধে ইউএনও বশির গাজী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসামি আব্দুল মান্নানকে ২৫ হাজার টাকা এবং সেলামতকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ইউএনও বশির গাজী এখতিয়ার বিহীন অর্থদণ্ড আরোপের মাধ্যমে অপরাধীকে দায়মুক্তি দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রীয় আইন, ফৌজদারি বিচার কাঠামো ও বর্তমান সরকারের নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। অপরাধের প্রকৃত বিচারের পথ রুদ্ধ করে আসামিকে নামমাত্র শাস্তি দিয়ে জরিমানা করে দায়মুক্তি দেওয়ায় ইউএনও'র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সুয়োমোটো মামলাটি রুজু করা হয়। আগামী ২৮ এপ্রিল মোবাইল কোর্ট পরিচালনার যাবতীয় ডকুমেন্টস ও আইনানুগ ব্যাখ্যাসহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলমের কোর্টে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মতর্তাকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা নতুন বাজারে মো. সেলামত নামে এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ৯ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বশির গাজী।
পরে মোবাইল কোর্টে ব্যবসায়ী সেলামতকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং সেলামত যার কাছ থেকে চাল ক্রয় করেছেন ওই ডিলার আ. মন্নানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ওই নির্বাহী অফিসার।