করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে যাওয়া অসহায় তাঁত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে তামাই ক্লাব লিমিটেড। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও শাহাজাদপুরসহ আশাপাশের তাঁত পল্লীতে কর্মহীন হাজারো মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে তামাই ক্লাব। করোনা সংকটের শুরু থেকে তারা খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা দিয়ে আসছে। এরই মধ্যে ৫২০টি পরিবারের নিকট খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩ হাজার পরিবারের খাবারে ব্যবস্থা করছে ক্লাবটি।
তামাই ক্লাবের কয়েকজন তরুণ নিজেদের জমানো টাকা দিয়ে দিনমজুর তাঁত শ্রমিকদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন। তারা পৌঁছে দিচ্ছেন চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, লবণসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। যা দিয়ে অন্তত চার-পাঁচ দিন চলতে পারবে অনাহারী পরিবার।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও শাহাজাদপুরসহ পাশ্ববর্তী তাঁত পল্লীতে সরকারী নির্দেশনায় বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের কার্যক্রম। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে কারখানায় কাজ করা ড্রামমাস্টার, পারিদার, শানাবাউ, রংমিস্ত্রিসহ দিনমজুরীতে কাজ করা শ্রমিকেরা। কাজ না থাকায় হাতেও কোন টাকা নেই এসব শ্রমিক পরিবারগুলোতে। সরকারি ও কারখানার মালিকদের ত্রাণ সহায়তা এখনও পৌঁছায়নি তাদের ঘরে।
টানাপোড়নের সংসারে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে এসব শ্রমিক পরিবারে। অনেকে লোকলজ্জায় কারও কাছে সাহায্য চাইতেও পারছেন না। তাঁত শ্রমিকদের এই কঠিন সময়টাতে পাশে দাঁড়িয়েছেন তামাই ক্লাব লিমিটেডের এক ঝাঁক তরুণ।
ইতোমধ্যে, পাঁচশ বিশটি পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। সব মিলিয়ে তিন হাজার পরিবারের তালিকা করা হয়েছে, এসব পরিবারের প্রত্যেকের ঘরেই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেবে ক্লাবের তরুণরা। খাদ্য সামগ্রী দিলেও তাঁত শ্রমিকদের কারো নাম ও ছবি প্রকাশ করছে না তামাই ক্লাবের সদস্যরা। করোনাভাইরাসের এই মহামারীর সময়ে, তামাই ক্লাবের উদ্যোক্তারা জানালেন, প্রতিবেশীরা যেন না খেয়ে থাকে সেই চেষ্টা করে যাবেন তারা।
তামাই ক্লাবের সদস্য রিশাদ মোর্শেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আমরা ঘরে ঘরে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের সীমিত অর্থ দিয়ে যতটুক পারছি করছি। যদি করোনা পরিস্থিতি আরো দীর্ঘ হয় তাহলে এসকল পরিবারের কাছে আরো সহায়তা পৌঁছান দরকার। এজন্য আমি সমাজের সম্পদশালী বিত্তবান লোকদের অনুরোধ করবো যে যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন।