নীলফামারীতে লকডাউনেও টনক নড়ছে না

, জাতীয়

মাহমুদ আল হাসান রাফিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী | 2023-08-22 13:54:46

নীলফামারী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসন নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও জীবন-জীবিকার তাগিদে তা মানতে নারাজ বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা। জেলায় ৯ জন রোগীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর সাড়ে ৫ হাজার মানুষ আছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। তবুও টনক নড়েনি জনগণের।

জেলার গুরুত্বপূর্ণ জলঢাকা, মীরগঞ্জ, টেংগনমারী, কৈমারী, বোড়াগাড়ী, সুটিবাড়ী আর ঢেলাপীর বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। দেখা গেছে যে যার মতো পণ্যের পসরা সাজিয়ে দিব্যি কেনা-বেচা করছেন। কেউই সরকারের কোনো নির্দেশনা মানছেন না। এতে করোনা ঝুঁকিও বাড়ছে।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ স্থানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার সরিয়ে নেয়ার দাবি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জীবিকার তাগিদে করোনা আতংক নিয়েই তারা পণ্য কেনাবেচা করছেন।

জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগারী বাজারে নিজ ক্ষেতের মিষ্টিকুমড়া পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন সোলায়মান ইসলাম। কোনো প্রকার স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এতো কম যায়গায় অনেক বেশি মানুষ। কেউ কারো কথা শোনে না। ইচ্ছা থাকলেও উপায় নাই। কুমড়া না বেচলে খাবো কি? ঘরে চাল নেই, কুমড়ার দামও কম।'

ফেস মাস্ক বা হ্যান্ড গ্লোবস নেই কারো

নীলফামারী'র জলঢাকা মাছ বাজারে মাছ কিনতে এসেছেন পূর্ব বালাগ্রাম চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামের সুমন মিয়া। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, 'বাজারের কোন মানুষেই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। উপায় না পেয়েই বাজার করতে হচ্ছে। এভাবে বাজার আসা সম্পূর্ণ অনিরাপদ, আমরা সকলেই মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি'।

নীলফামারী'র জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নীলফামারীকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছ। নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েও জনগণের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া যাচ্ছে না। বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে আমরা জেলার সকল প্রবেশ-বহির্গমন পথে বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়েছি।'

তিনি আরো বলেন, 'ইতিমধ্যে আমরা সৈয়দপুরে কাঁচাবাজার খোলার যায়গায় নিয়েছি। বাকি বাজারগুলো খোলা মাঠে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর