ঝড়-বজ্রবৃষ্টির প্রবণতায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ

, জাতীয়

শাদরুল আবেদীন, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-22 00:48:18

বৈশাখের দ্বিতীয় দিন থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ো বাতাস ও বজ্রবৃষ্টি হচ্ছে। রোববারও (১৯ এপ্রিল) ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ অঞ্চলে তা অব্যাহত ছিল।

এতে পরিপক্ব হওয়ার আগেই গাছ থেকে ঝরে পড়েছে আম ও লিচুর গুটি। কিছু কিছু মাঠে বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী সপ্তাহজুড়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো বাতাস ও বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এতে কয়েকদিন তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকবে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

অপরদিকে রাঙামাটি, রাজশাহী ও যশোর অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মেঘলা আকাশ

আবহাওয়াবিদ আবদুর হামিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হয়েছে। তবে আগামী দুই দিন আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। তবে এরপর ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে। একইসঙ্গে শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় তাপমাত্রাও কিছুটা কম থাকবে।’

এদিকে, এখন চলছে বোরো মৌসুম। হাওরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাকতে শুরু করেছে সোনালি ধান। সময় হয়েছে ধান কেটে ঘরে তোলার। কিন্তু এই মুহূর্তে ঝড়- শিলা বৃষ্টি কৃষকের কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। সময় মতো সোনালি ফসল ঘরে তুলতে না পারলে কিছু কিছু এলাকায় পানিতে ধান তলিয়ে যাবে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হবে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে তারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। তাই শ্রমিক সংকট চরমে। আবার সপ্তাহজুড়ে যদি ঝড় বৃষ্টি হয় তাহলে পানি জমে ধানের বড় ক্ষতি হবে। এতে করে লোকসান গুনতে হবে তাদের।

ময়মনসিংহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল মাজেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘যেহেতু বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সেজন্য পাকা ধান মাঠে না রাখাই উচিত। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি নিচু যে জায়গাগুলো আছে সেখানে ধান পরিপক্ব হলেই, তারা যেন দ্রুত কেটে ফেলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকট দেখা দিচ্ছে। তাই আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের দ্রুত ধান কাটতে হারভেস্টার মেশিন দিচ্ছি। এছাড়া আরও কয়েকটি পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করেছি। এতে কৃষক উপকৃত হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর