ফরিদপুরে পিসিআর ল্যাব চালু

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর | 2023-08-27 06:42:56

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্ত টেস্টের পিসিআর ল্যাব চালু করা হয়েছে।। সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে ল্যাবটিতে কর্মরতদের জন্য মাস্ক সংকট এবং জীবাণুমুক্ত করার অটোক্লেব মেশিনের সক্ষমতা কম বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ল্যাব চালুর সময় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খবিরুল ইসলাম, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান, ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির সম্পাদক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন টিটো চৌধুরী সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম খবিরুল ইসলাম বলেন, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের মাধ্যমে প্রাপ্ত নমুনা এখানে শুরুতে পরীক্ষা করা হবে। প্রথম দিনে ৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হবে। প্রতিদিন এখানে ৯৪টি নমুনা টেস্ট করা যাবে। প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত নমুনা দিয়ে এ পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। পরে আশেপাশের অন্যান্য জেলার নমুনাও পরীক্ষা করা হবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য এক হাজার কীট পাঠানো হয়েছে।

এ ল্যাবের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম খবিরুল ইসলাম। এছাড়া ল্যাব পরিচালনার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হলেন কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল আলম, প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. ওয়াদুদ মিয়া এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রেজাউল কাদের। পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে সাতজন টেকনিশিয়ান এখানে কাজ করবেন।

বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রেজাউল কাদের জানান, এই ল্যাবটিতে কর্মরতদের জন্য তারা এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই পেয়েছেন তবে তা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া যন্ত্রপাতি ও জীবাণুমুক্ত করার জন্য যেই অটোক্লেব মেশিন দরকার সেটিও ছোট। তাদের এখন আরো কমপক্ষে ৩শ এন-৯৫ মাস্ক এবং ১২০ লিটারের একটি অটোক্লেব মেশিন দরকার। এসবের চাহিদা পত্র দিয়ে ঢাকার সিএমএসডিতে তাদের লোক পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় মাস্ক না পেলে এবং অটোক্লেব মেশিনের সক্ষমতা না বাড়ালে কয়েকদিন পর নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর