ত্রাণের আওতার বাইরে কেউ নেই: কৃষিমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগময় সময়ে মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণের আওতার বাইরে কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, ‘সরকার সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সাধ্যমত চেষ্টা করছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাই সহায়তা পাবেন। আপনাদেরকে ধৈর্য ধরে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।’
বুধবার (২২ এপ্রিল) টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর পাইস্কা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় এ কথা বলেন। করোনা থেকে নিরাপদে থাকতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে মন্ত্রী ৩০০টি দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
কৃষিমন্ত্রী এ সময় ধনবাড়ী-মধুপুরের জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘মহামারি করোনার কারণে সারা বিশ্বের মানুষ আজ আতঙ্কিত। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে আপনারা সাবধানে থাকবেন যাতে করোনায় আক্রান্ত না হন।’
পরে কৃষিমন্ত্রী ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপনের উদ্যোগে কলেজ মাঠে আরও ৩০০টি দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এছাড়া বিকেলে কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় ২ হাজার ৫০০ দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন।
পরে কৃষিমন্ত্রী ধনবাড়ী উপজেলা মিলনায়তনে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে করোনা প্রতিরোধ, ত্রাণ বিতরণ এবং ধানকাটা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সভায় কৃষিমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনাগুলোকে সঠিকভাবে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকার ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে অনিয়মকে কোনোরকম প্রশ্রয় দিচ্ছে না। এরইমধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই মহাদুর্যোগে মানবিকতা ভুলে যারা ত্রাণ বিতরণে অনিয়মে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধানকাটার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বোরো ধান কাটার মৌসুম। সারাদেশে এবছর বোরো চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ কোটি ০৪ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। আমাদের সারা বছরের মোট চাল উৎপাদনের প্রায় ৫৫ ভাগের যোগান দেয় বোরো ধান। সেজন্য, শুধু হাওর নয়, সারা দেশের ফসল সুষ্ঠুভাবে ঘরে তোলা জরুরি। আর এটি করতে পারলে বাংলাদেশের ধান উৎপাদনে তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। একই সঙ্গে নিশ্চিত করবে খাদ্য নিরাপত্তা।’