কুষ্টিয়া জেলায় এই প্রথমবারের মতো তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্ত তিনজনই পুরুষ। এদের মধ্যে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা, একজন পুলিশ অপরজন ষাটোর্ধ বৃদ্ধ শ্রমিক।
আক্রান্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার মাহাবুব আহম্মেদ চপ্পল (৩০), কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গট্টিয়া গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে আক্কাস আলী (৬৯) ও পুলিশ সদস্য কাজী আতাউর রহমান খোকসার ওসমানপুর গ্রামের কাজীবাড়ি এলাকার মৃত কাজী আলতাফ হোসেনের ছেলে।
বুধবার (২২ এপ্রিল) কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এদের করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আক্রান্ত মাহাবুব আহম্মেদ চপ্পল (৩০) মাদারীপুর জেলায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অফিসার পদে কর্মরত আছেন। গত ২৫ মার্চ তিনি মাদারীপুর থেকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে আসেন। এরপর থেকে তিনি কুষ্টিয়াস্থ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। অপরজন কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গট্টিয়া গ্রামের আক্কাস আলী (৬৯)। তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছেড়ে অন্য কোনো জেলায় যাননি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অন্যজন পুলিশ সদস্য ঢাকা থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে এসেছিলেন।
গত কদিন ধরে ব্যাংক কর্মকর্তা ও বৃদ্ধের জ্বর, ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় গত ২০ এপ্রিল বিকেলে দুজনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরের দিন ২১ এপ্রিল সকালে পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাবে পাঠানো হয়। বুধবার সকালে যশোর থেকে এই দুজনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, আক্রান্ত দুজন এতদিন বাড়িতে ছিলেন। পজিটিভ রেজাল্ট আসার পর তাদের দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য টিম পাঠানো হয়েছে। আক্রান্ত দুজনের বাড়িসহ সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আশপাশের কয়েকটি বাড়িও লকডাউন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন জানান, কুষ্টিয়া জেলায় এটাই প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো।
এদিকে, কুষ্টিয়া জেলায় ৩৩৯ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৫ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।