প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও লকডাউনে গৃহবন্দী সর্বস্তরের মানুষ। এতে শ্রমিক সংকটে অসহায় হয়ে পড়েছে কৃষকও। মাঠেই পড়ে আছে পাকা ধান। শ্রমিক সংকট ও অর্থাভাবে মাঠের পাকা ধান তুলতে পারছেনা ঘরে।
আর এর মাঝেই বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গেলো কালবৈশাখী ঝড়। এই ঝড় যেনো কৃষকের পাকা ধানে মই দিয়ে গেলো। ঝড়ো হাওয়ার সাথে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষকের পাকা ধান। প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া ও বর্ষণে কাটার উপযুক্ত বোরো ধান হেলে মাটির সাথে নুয়ে পড়েছে।
ডুমুরিয়ার কৃষক দীন ইসলাম বলেন, বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে পাকা ধান হেলে পড়েছে। জমির অর্ধেক ধানও কাটা হয়নি। এখন ধানগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।
খুলনার শস্যভাণ্ডার খ্যাত ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোদাচ্ছের হোসেন জানান, ডুমুরিয়া উপজেলায় ২১ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ রয়েছে। এবারের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অন্তত ১ লাখ ২৭ হাজার ২৩০ মেট্রিক টন। মাত্র ধান কাটা শুরু হয়েছিল। এরমধ্যে ঝড়-বৃষ্টি। এতে বেশ ক্ষতি হতে পারে পাকা ধানের। তবে অন্যান্য শস্যের জন্য এ বৃষ্টি আশীর্বাদ। দুঃখজনক হলো ডুমুরিয়াতে শফিকুল ইসলাম মোল্যা নামে আমার একজন কৃষক বজ্রপাতে মারা গেছেন।
খুলনা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক পংকজ কান্তি মজুমদার বলেন, এবার ৫৭ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। দুই লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তর ইনচার্জ মো. আমিরুল আজাদ জানান, খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১ মিলিমিটার। এছাড়া বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গায় এক মিলিমিটার করে বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী আরো দুই-একদিনের আবহাওয়া এমন থাকতে পারে।