ডিপো থেকে তেল চুরির ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদ্য বরখাস্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) রাজশাহী স্টেশনের কমান্ড্যান্ট মোরশেদ আলম বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। মামলার আরও তিন আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীতে রেলওয়ের ডিপো থেকে ১১ হাজার লিটার তেল চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনজন। তাদের গ্রেফতার করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। তারা আটক হওয়ার পর পরই উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ঘটনার সময় হাতেনাতে আটক তিনজন হলেন- যমুনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, ট্রাকের হেলপার ইলিয়াস হোসেন এবং যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলী। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পলাতক তিন আসামি হলেন- যমুনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানীর সহকারী ম্যানেজার আশফাকুল ইসলাম, তেল ক্রেতা রবিউল ইসলাম ও ট্রাক চালক বাবু আলী খান।
এদিকে তেল চুরির ঘটনা তদন্তে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই-লোকো) আশীষ কুমার মণ্ডলকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিইই) রিফাত সাকিল রুম্পা ও কমান্ড্যান্ট আরএনবি (পাকশী) রেজওয়ানুর রহমান।
কমিটির সদস্য ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যও গ্রহণ করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।’ সম্ভব হলে তিনদিনের আগেই রিপোর্ট দেয়া হবে বলেও জানান রেলওয়ের এই বাণিজ্যিক কর্মকর্তা।