গ্যাস উত্তোলন, কমপ্রেসর ক্রয়, পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পে অগ্রাধিকারের স্তর নির্ধারণ করে দ্রুত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পুরনো গ্যাস ফিল্ডগুলো হরিজনটাল বা আনকনভেনশনাল ওয়ে ড্রিলিং করার বিষয়টিও যাচাই বাছাই করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের আরএডিপি বরাদ্দ ও মার্চ ২০২০ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নিজস্ব জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ আহরণ ও উত্তোলনে সুনির্দিষ্ট ও স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা দ্রুত নিন। পাথরের চাহিদা রয়েছে, সরবরাহ চ্যানেল ভালো করা গেলে দেশের সর্বত্র পাথরের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রকল্প নির্ধারণ করতে হবে।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় জিওবি ও বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট ৮টি, নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ১৬টি ও জিডিএফ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ৮টিসহ মোট ৩২টি প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্প নিয়ে আলোচনাকালে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন সমস্যা হলে দ্রুততার সাথে দ্বি-পাক্ষিক, ত্রি-পাক্ষিক বা বহু-পাক্ষিক সভা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
পরিশেষে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন থেকে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেন প্রতিমন্ত্রী। ভার্চুয়াল এই সভায় আরও অংশ নেন- জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান, বিপিসির চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান ও পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ প্রমুখ।