বগুড়ায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া | 2023-09-01 05:43:07

পাইকারি বাজারে ৬০ টাকা মণ দরে বিক্রি হওয়া টমেটো বগুড়া শহরের খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। টমেটো সস প্রস্ততকারক কোম্পানিতে সরবরাহের আশায় বগুড়ায় ব্যাপক হারে চাষ করা হয়েছিল টমেটো। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে টমেটো চাষিদের। অনেকের জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে টমেটো।

পাইকারি বাজারে বিক্রি করতে পরিবহন খরচ না ওঠার কারণে জমি থেকে টমেটো তুলছেন না কেউ। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রামের কৃষক রুহুল আমিন। দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছিলেন গ্রীষ্মকালীন টমেটো। ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে দেড় লাখ টাকার মত টমেটো বিক্রি করতে পেরেছেন। কিন্তু ওই টাকায় তার টমেটো চাষের খরচও ওঠেনি।

বার্তা২৪.কমকে রুহুল আমিন বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমিত গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে তিন লাখ টাকা লাভ করেছিলেন। এবারও একই জাতের টমেটো চাষ করেছেন। বিক্রি করতে না পারায় পড়েছেন বিপাকে। বিঘা প্রতি ৩শ থেকে ৩৫০ মণ টমেটোর ফলন হয়। পাইকারি বাজারে বিক্রির পাশাপাশি তারা নাটোরের প্রাণ কোম্পানিতে টমেটো সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু এবার কোম্পানি টমেটো না নেয়ার কারণে জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন পরিবহন সংকটের কারণে দেশের অন্য স্থানেও টমেটো সরবরাহ করা যাচ্ছে না। টমেটো জমি থেকে উঠিয়ে পাইকারি বাজারে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত কেজি প্রতি খরচ হয় এক টাকা। সেই টমেটো পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ৬০ টাকা মণ।

রুহুল আমিন বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমিত গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে তিন লাখ টাকা লাভ করেছিলেন

রুহুল আমিনের মত একই অবস্থা নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর ও গাবতলী উপজেলার গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষিদের। তবে চাষিরা টমেটো বিক্রি করে দাম না পেলেও কয়েক হাত বদল হয়ে সেই টমেটো শহরে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, আড়তে অনেক কম দামে কিনলেও টোল, পরিবহন খরচ দিয়ে তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। এছাড়াও বৈশাখ মাসে টমেটোর চাহিদা কমে যাওয়ায় তাদের দোকানেও টমেটো পচে নষ্ট হয়ে যায়।

এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, শুধু টমেটো চাষি নয়, প্রান্তিক সব কৃষকই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চলমান সংকটে কৃষকের এই ক্ষতি প্রণোদনার মাধ্যমে পুষিয়ে দিতে মাঠ পর্যায়ে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর