ব্রিটিশ নাগরিকদের ফেরাতে চারটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা শেষ হওয়ার আগেই আরো ৫টি নতুন ফ্লাইটের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারসন ডিকসন এক ভিডিও বার্তায় এ সম্পর্কে ৫টি মেসেজ দিয়েছেন।
প্রথমত, 'আমি খুব সন্তুষ্ট যে আমরা আগামী দশ দিনের মধ্যে আরও পাঁচটি চার্টার ফ্লাইট ঘোষণা করতে পেরেছি'।
দ্বিতীয়ত, 'আমরা এই ফ্লাইটগুলোর জন্য আবেদনকারীদের তালিকা নিয়ে কাজ করছি এবং আগামী কয়েকদিন ধরে ফ্লাইটগুলোর সিটের বরাদ্দ দেয়া হবে। বরাদ্দ প্রাপ্তরা সংক্ষিপ্ত নোটিশে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকুন'।
তৃতীয়ত, 'এখানে কোনো গ্যারান্টি নেই যে আমরা আরো বেশি চার্টার ফ্লাইট চালাতে সক্ষম হব। সুতরাং আপনি যদি ভাবেন যে আপনি যেতে চান, দয়া করে নিশ্চিত হয়ে নিন। আপনি আমাদের সিটিএম ট্র্যাভেল ম্যানেজমেন্ট পোর্টালে নিবন্ধভুক্ত হউন। শুধু একবারই নিবন্ধিত হন। তারপরে সংক্ষিপ্ত নোটিশে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত হন'।
চতুর্থত, 'কিছু যাত্রী ফ্লাইটের আসন বরাদ্দ রাখেন কিন্তু তা নেয় না, এটি অন্যান্য নাগরিকদের ঘরে ফিরতে বাধা দেয়। এই যাত্রীরা যদি খুব জরুরি কারণ ব্যতীত বরাদ্দকৃত আসন না নেয় তবে আমরা ভবিষ্যতের ফ্লাইটগুলোতে তাদের পুনরায় নিবন্ধন করব না'।
পঞ্চমত, 'আমরা জানতে পেরেছি বাংলাদেশে ব্রিটিশ নাগরিকরা তাদের অনেকগুলো ওষুধ সরবরাহ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। আমরা ঢাকা এবং সিলেটের ফার্মেসিগুলোতে চেক করেছি। দুই স্থানেই ফার্মেসিগুলো খোলা এবং স্টক ভাল। সুতরাং বেশিরভাগ ওষুধের জন্য আপনার স্থানীয়ভাবে যা প্রয়োজন তা সংগ্রহ করতে পারেন'।
এর আগে রোববার (২৬ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারসন ডিকসন একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, আরো ৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে যা ২৯এপ্রিল, ১মে, ৩মে, ৫মে এবং ৭মে ঢাকা থেকে লন্ডনে উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে।