ওয়ালটন তৈরি করেছে তিনটি ভেন্টিলেটর প্রোটোটাইপ

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 20:56:17

তিন মডেলের তিনটি ভেন্টিলেটরের প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে দেশীয় প্রযুক্তি কোম্পানি ওয়ালটন। এর মধ্যে দু’টি তাদের নিজস্ব মডেল আর একটি করা হয়েছে বিশ্বখ্যাত মেডিক্যাল ডিভাইস কোম্পানি মেডিট্রনিক্স-এর নকশায়।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে প্রোটোটাইপ তৈরির ঘোষণা দেবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

এর আগে গত ৩১ মার্চ একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেডিট্রনিক্স তাদের পিবি-৫৬০ মডেলের ভেন্টিলেটরের প্যাটেন্ট, ডিজাইন এবং সোর্স কোড তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।

জানা গেছে, এখন ভেন্টিলেটরগুলো কোনো একটি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল টেস্টের জন্যে দেওয়া হবে। তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরে বড় পরিসরে ভেন্টিলেটর উৎপাদনে যাবে ওয়ালটন।

কোম্পানীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মেডিট্রনিক্সের হায়দ্রাবাদের রিসার্চ অ্যান্ড ডেলেপমেন্ট টিম গোটা কাজে ওয়ালটন এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে থেকে কাজ করেছে।

ভেন্টিলেটরগুলো গুণগত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে বলে আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছে ওয়ালটনের একাধিক কর্মকর্তা।

তবে এখনও এই প্রযুক্তি পণ্যটির মূল্য কতো হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তারা।

মেডিট্রনিক্স এর সাবেক চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কোম্পানি ওমর ইশরাক বাংলাদেশের সন্তান যিনি এখন প্রসেসর কোম্পানি ইন্টেলের প্রধান, মূলত তার কারণেই বাংলাদেশ মেডিট্রনিক্স-এর ভেন্টিলেটরের প্যাটেন্ট, ডিজাইন এবং সোর্স কোড পায় বাংলাদেশ।

প্রথম দিকে ওয়ালটন ছাড়া আরএফএল, মিনিস্টারসহ আরও কয়েককটি কোম্পানি এই ভেন্টিলেটর তৈরির বিষয়ে আগ্রহী ছিল। তবে পরে শেষ পর্যন্ত ওয়ালটনই পায় কাজ।

এদিকে মিনিস্টারও তাদের মতো করে ভেন্টিলেটর তৈরি করছে বলে জানা গেছে।

বর্তমানে চীন থেকে একটি ভেন্টিলেটর আমদানি করতে অন্তত সাত লাখ টাকা লাগে। ইউরোপ থেকে আনতে লাগে ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা।

ভেন্টিলেটার এমন একটি যন্ত্র, যা শ্বাসকষ্টের রোগীদের বিকল্প পন্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফুসফুস অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকমতো কাজ করে না। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে অনেকই মারা যাচ্ছেন।

শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বেই এখন ভেন্টিলেটারের ব্যাপক চাহিদা। সেই তুলনায় ভেন্টিলেটারের যোগান রয়েছে খুবই কম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মাত্র এক হাজারের মতো মতো ভেন্টিলেটর আছে। আর অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে তাতে এই মুহূর্তে ভেন্টিলেটার আমদানির কোনো সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস কষ্ট শুরু হলে তাকে বাঁচানোর সম্ভাবনা খুবই কম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর