নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটায় এক যুবককে ট্রাক্টর চাপায় হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ৩ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে রাখে।
নিহত আবু মুসা কচুকাটা ইউনিয়নের দোনদরী সর্দারপাড়া গ্রামের মোফাচ্ছেল ইসলামের পুত্র। সে নীলফামারী সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কচুকাটা ইউনিয়নের বাবুপাড়া গ্রামের নবুদ মিয়ার ছেলে মার্সাল আলী নিহত মুসার নিকট ট্রাক্টরের বডি প্রতিদিন তিনশত টাকায় হিসাবে ভাড়া নেয়।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিনমাসের বকেয়া ভাড়া চেয়ে কচুকাটা বাজারে গাড়ি থামায় আবু মুসা। এসময় গাড়ি চালাচ্ছিলো মার্সালের ছেলে আশিক (১৯)। গাড়ি থামিয়ে বকেয়া টাকা চাওয়ায় মার্সাল বাজারে এসে আবু মুসাকে গালিগালাজ করে। কিচ্ছুক্ষণ পর মর্সাল তার ছেলেকে আদেশ দেয় ট্রাক্টরের সামনে যে থাকবে তাকে চাপা দিতে, বলা মাত্রই ছেলে আশিক মুসাকে ট্রাক্টর দিয়ে চাপা দেয়।
পরে স্থানীয়রা আবু মুসাকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরামর্শ অনুযায়ী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু মুসা মৃত্যু হয়।
নিহত আবু মুসার বন্ধু রবিউল ইসলাম জানান, 'মার্সাল দুইবার সময় নিয়েও ভাড়ার বকেয়া টাকা পরিশোধ করেনি। গতকাল সন্ধ্যায় টাকা চাইলে মার্সাল মুসাকে গালিগালাজ করে। মার্সাল তার ছেলে আশিককে আদেশ দিলে সে মুসাকে ট্রাক্টর দিয়ে চাপা দেয়। আমরা এ হত্যার বিচার চাই'।
নিহত মূসার বড় চাচা আমিনুর রহমান বলেন, 'আমার ভাতিজা মুসাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে চাপা দেয়া হয়। বকেয়া টাকা চাওয়ায় তাকে আজ মরতে হলো। আমরা হত্যাকারী মার্সাল ও তার ছেলের ফাঁসি চাই'।
অবরোধ চলাকালে নীলফামারী'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমিন ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসীরা অবরোধ তুলে নেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমিন জানান, 'আবু মুসা নিহতের ঘটনায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকালেই ঘাতক ট্রাক্টরটিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে'।