নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটায় কলেজছাত্র আবু মুসাকে (২৩) ট্রাক্টর চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক মার্সাল আলী ও তার ছেলে আশিক ইসলামকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
নিহত কলেজছাত্র আবু মুসা ওই উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের দোনদরী সরদারপাড়া গ্রামের মোফাচ্ছেল ইসলামের ছেলে এবং নীলফামারী সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। গ্রেফতারকৃতরাও একই এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, নিহত আবু মুসার কাছ থেকে ট্রাক্টরের বডি প্রতিদিন ৩শ টাকায় ভাড়া নিতেন কচুকাটা ইউনিয়নের বাবুপাড়া গ্রামের মার্সাল আলী। গত সোমবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ৩ মাসের বকেয়া ভাড়া চেয়ে কচুকাটা বাজারে ট্রাক্টর থামান আবু মুসা। এ সময় ট্রাক্টর চালাচ্ছিলেন মার্সালের ছেলে আশিক। ট্রাক্টর থামিয়ে বকেয়া টাকা চাওয়ায় আবু মুসাকে গালিগালাজ করেন মার্সাল। এ সময় মার্সাল তার ছেলেকে আদেশ দেন ট্রাক্টরের সামনে যে থাকবে তাকেই যেন চাপা দেয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই আবু মুসাকে ট্রাক্টর দিয়ে চাপা দেন আশিক।
পরে গুরুতর অবস্থায় আবু মুসাকে উদ্ধার করে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই রেজাউল করিম একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, মার্সাল আলী ও তার ছেলে আশিক ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।