বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য সচলে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠক

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল(যশোর) | 2023-08-27 01:36:30

করোনার প্রভাবে দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে এক মাসেরও অধিক সময় ধরে বন্ধ হয়ে পড়া আমদানি-রফতানি বাণিজ্য পুনরায় সচলের জন্য দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের শূন্যরেখায় (নোম্যান্সল্যান্ড) সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বেনাপোল বন্দরের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আমদানি, রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দীন শিমুল ও সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।

ভারতের পক্ষে ছিলেন, পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী ও আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতারা আলোচনায় বলেন, পেট্রাপোল বন্দরে যে সমস্ত ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও গার্মেন্টস সামগ্রী আছে সেগুলো প্রবেশে যেন পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। জরুরি এসব পণ্যে প্রবেশে অনুমতি না দিলে কাঁচামালের গুণগত মান নষ্ট ও জরুরি এসব পণ্যের সংকট তৈরি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দাবির বিপরীতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা নেতারা বলেন, যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি তাই বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে গিয়ে আপাতত পণ্য খালাস তাদের পক্ষে সম্ভব না। তবে এ অবস্থায় বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট শূন্য রেখায় স্বল্প পরিসরে ট্রাক থেকে ট্রাক জরুরি পণ্যগুলো খালাস করা যেতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন সব পণ্য বেনাপোল বন্দরে পাঠানো হবে।

আমদানি, রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতামত বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে দুই এক দিনের মধ্যে একটি ভাল সমাধান হবে বলে আশা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের মধ্যে পণ্য সরবরাহ সচল রাখতে বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমস স্বল্প পরিসরে খোলা থাকলেও ভারতে পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম টানা একমাস ধরে বন্ধ হয়ে পড়ায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে প্রায় ৫ হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক। এসব পণ্যের মধ্যে
অধিকাংশ রয়েছে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, কেমিক্যাল সামগ্রী ও খাদ্যদ্রব্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর