করোনার কারণে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ট্রাক আটকা রয়েছে। এর মধ্যে পাথর ভর্তি প্রায় ৩ হাজার ট্রাক রয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য ভর্তি প্রায় ৫শ ট্রাক আটকা পড়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল ভারতীয় এক্সপোর্টার ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
এদিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে না পারায় স্থানীয় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। সব প্রকার কাঁচামালের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে ছোলা, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম।
তবে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে স্থলবন্দরে পণ্য খালাস করার কাজে নিয়োজিত প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। তাদের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। পণ্য আমদানি না হওয়ার কারণে সামান্য কিছু অনুদান পেলেও সেটি দিয়ে তাদের সংসার চলছে না।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিমিটেড কোম্পানির অপারেশনাল ম্যানেজার কামাল উদ্দিন জানান, সোনামসজিদ পোর্ট খোলা আছে। পানামা কর্তৃপক্ষ সব সময় গাড়ি নিতে প্রস্তত। তবে গত ২৭ এপ্রিল সোমবার থেকে আমদানি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভারতীয় রফতানিকারকদের সিদ্ধান্তের কারণে তা বন্ধ রয়েছে।
পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার বেলাল হোসেন জানান, আমদানি-রফতানি চালু হলে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে পণ্য খালাস করা যাবে।
তিনি আরও জানান, দ্রব্য মূল্য কমাতে সহায়ক এমন পণ্য ছাড়া অন্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হবে।