তবুও তাদের যেতে হচ্ছে!

, জাতীয়

সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী | 2023-08-10 07:24:00

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব আজ স্থবির। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশের মানুষকে করোনামুক্ত রাখতে সরকার এরই মধ্যে বেশ কিছু দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে।

লোকসমাগম কমাতে সীমিত করা হয়েছে দোকানপাট, বাজার খোলা রাখার সময়। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত ঠেকাতে বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে একে অপরের থেকে সামাজিক দূরত্ব বা নিরাপদ দূরত্ব (ন্যূনতম ৩ ফুট) নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে প্রশাসন।

কিন্তু সরকারের কোনো পদক্ষেপই আটকাতে পারছে না পোশাক শ্রমিকদের ঢাকায় ফেরা। পেটের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে তাদের।

ফেরিতে করে ঢাকায় ফিরছেন শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

এমনই দৃশ্য চোখে পড়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। বৈরি আবহাওয়া আর পুলিশের বাধার মুখেও তাদের যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে। করোনার ভয় তাদের কাছে তুচ্ছ।

শুক্রবার (১ মে) ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি নামছে। কিন্তু তাতেও চাপ কমেনি যাত্রীদের। বৃষ্টির মধ্যেই তারা ছুটছেন কর্মস্থলের উদ্দেশে। গত তিনদিন ধরেই ঘাটে রয়েছে পোশাক শ্রমিকদের উপচে পরা ভিড়। লকডাউন ও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও ট্রলার চলাচলও। তাই ফেরিতেই গাদাগাদি করে ঢাকায় ফিরছেন তারা। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। সব জেনেও নিরুপায় তারা। চাকরি বাঁচানোর জন্য তাই ঝুঁকি নিয়েই যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে।

এমনই একজন নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক সাব্বির হোসেন রোকন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, বুধবার অফিস থেকে ফোন দিয়েছে। শনিবার থেকে অফিস করতে হবে।

ফেরিতে করে ঢাকায় ফিরছেন শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

নারায়ণগঞ্জ তো সবচেয়ে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ স্থান। ওখানে গেলে তো ঝুঁকিতে থাকবেন। জবাবে তিনি বলেন, এটাই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। তাই কি করব বলুন? জীবনের ঝুঁকি জেনেও পেটের তাগিদে যেতেই হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর