মহেশপুর গুচ্ছগ্রামে আজও পৌঁছায়নি খাদ্য সহায়তা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-25 00:14:28

করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। এতে দরিদ্র পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকলেও আজও পৌঁছায়নি ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গুচ্ছগ্রামে।

শুক্রবার (১ মে) দুপুরে মহশেপুর গুচ্ছগ্রামে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী না পাওয়ার অভিযোগ শোনা যায় শতাধিক অসহায় মানুষের কাছ থেকে।

স্থানীয়রা জানান, ফরিদুপর ইউনিয়নের ভূমিহীন মানুষের মধ্যে প্রায় ১০০ পরিবারের ঠাঁই হয়েছে মহেশপুর গুচ্ছগ্রামে। এ গ্রামে বসবাসকারী মানুষগুলো দিন আনে দিন খায়। কেউবা চালায় ভ্যানগাড়ি। কেউবা খাটে অন্যের বাড়ি। এছাড়া রয়েছে ভিক্ষাবৃত্তির পেশার বেশ কয়েকটি পরিবার। গায়ের ঘাম ঝড়া দৈনন্দিন রোজগারে কোনোমতে সংসার চলছিল তাদের। সম্প্রতি প্রাণঘাতী করোনার থাবায় থমকে গেছে তাদের জীবনযাত্রা।

দীর্ঘ লকডাউনের কবলে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন ১০০ পরিবারের প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ। তাদের বন্ধ রয়েছে আয়-রোজগারের পথ। ফলে চরম খাদ্যাভাবে পড়েছেন অসহায় মানুষরা। তারা বেঁচে থাকার চেষ্টায় খাদ্যের সন্ধানে ছুটছেন এদিক-সেদিক। ঘুরছেন স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে। এতেও লাভ হচ্ছে না ক্ষুধার্ত মানুষদের। পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে সরকারের সহযোগিতা পেলে হয়তো কিছুটা স্বস্তি পাবেন এসব অসহায় মানুষ।

ভূমিহীন ১০০ পরিবারের ঠাঁই হয়েছে মহেশপুর গুচ্ছগ্রামে

মহেশপুর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ৮০ বৃদ্ধা নেছামাই বেওয়া (৮০) জানান, ভিক্ষাবৃত্তি করে পেট চলে তার। করোনা পরিস্থিতিতে অন্যের বাড়িতে গেলেও সংক্রমণের ভয়ে গৃহস্থালিরা ভিক্ষা দিতে চাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। ত্রাণের আশায় কয়েক দফায় এনআইডি কার্ডের ফটোকপি দিলেও তার কপালে জোটেনি কোনো খাদ্য সহায়তা।

ওই গ্রামের বাসিন্দা বাদশা মিয়া, ছালেহা বেগম, লিলি বেগম, হাজের আলীসহ আরও অনেকে বলেন, সরকারের নিয়ম মানতে গিয়ে খাদ্যাভাবে পড়েছি। রাতে খেলে সকালে কি খাব, এমন চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।

ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সুজন সরকার জানান, প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে গুচ্ছগ্রামে একজনকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। আরও চারজনকে দেওয়ার প্রক্রিয়া রয়েছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে জানতে ওই ইউপির চেয়ারম্যান নুর আজম মণ্ডল নীরবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর