সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পুরাপুরি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় চলে যাওয়ার পক্ষে প্রস্তাব দিতে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোটা সংস্কারে গঠিত কমিটি। তবে মুক্তিযোদ্ধার কোটার বিষয়ে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোমবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে কমিটির সভাপতি ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের কমিটি মোটামুটি সুপারিশ ঠিক করেছে। আর তা হচ্ছে কোটা অলমোস্ট উঠিয়ে দেওয়া। সরাসরি মেধায় চলে যাওয়া। তবে সুপ্রিম কোর্টের একটি অবজারভেশন আছে সেটা হলো মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষণ করতে হবে অথবা খালি থাকলে তা পূরণ করতে হবে। এটার উপর সরকার কোর্টের মতামত চাইবে। তবে এটাকেও যদি রহিত করে দেয়। তাহলে কোটা একেবারেই থাকবে না। আর কোট যদি ভারটিক দেয় যে, ঐ অংশটুকু রাখতে হবে তাহলে ঐ অংশটুকু রেখে বাকি সব ধরণের কোটা তুলে দেওয়া হবে। এটা আমাদের প্রাথমিকভাবে কমিটির সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে যেটা সুপারিশ রেডি করেছি তা হলো কোর্টের সাথে সমঞ্জস্য রেখে।
এ প্রেক্ষিতে ‘এটি ছিল কোর্টের পর্যবেক্ষণ এটা তো বাধ্যবাধকতা নেই তাহলে কোর্টের সেই পযব্কেষনকে কেন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এটা আমরা পরিস্কার নই। আমরা নিজেরাও কোর্টের এ নির্দেশনা বুঝতে পুরাপুরি পারছি না। তাই আমরা কোর্টের কাছে যাবে। কারণ কোর্টের যে নির্দেশনাগুলো আছে তা মানা আমাদের জন্য বাধ্যবাধকতা আছ জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
শফিউল আলম বলেন, তবে আমাদের সিদ্ধান্ত হলো যতদুর সম্ভব কোটা বাদ দিয়ে মেরিটে চলে যাওয়া। এখন আমাদের সময় এসেছে আমরা এখন পুরাপুরি উন্মক্ত প্রতিযোগিতায় চলে যাব। এটা আমাদের কমিটির প্রাথমিক প্রস্তাবনা।
পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর নাগরিকরা কিভাবে সুবিধা পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছি ওনারা (পিছিয়ে পড়া জেলার চাকুরি প্রার্থী)অগ্রসর হয়ে গেছে।