চাঁদা না পেয়ে ঠিকাদারকে মারধর, গ্রেফতার ২

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী | 2023-08-09 10:29:08

রাজশাহীতে চাঁদা না দেওয়ায় জাকির হোসেন শাওন নামে এক ঠিকাদারকে মারধর ও তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বখাটেরা। এসময় তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনও ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। গত ২ মে মহানগরীর হেতেমখাঁ লিচুবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরদিন রোববার (৩ মে) নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ওই ঠিকাদার। মামলার পর সোমবার (৪ মে) অভিযান চালিয়ে জয় ও দিপু নামে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।

জাকির হোসেন শাওন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহের ঠিকাদারি করেন। তিনি নগরীর হেতেমখাঁ এলাকার কিসমত আলীর ছেলে। শাওন মহানগরীর ১০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

মামলার আসামিরা হলেন- নগরীর হেতেমখাঁ লিচু বাগান এলাকার রোজের ছেলে সিয়াম (১৮), মো. শাহিনের ছেলে পৃথিবী (১৮), মৃত. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রবি (৩৮), মো. মামুনের ছেলে মেহেদী (১৯), দিলু হোসেনের ছেলে সৌরভ (২০), মৃত. শাহিনের ছেলে জয় (১৮), মাজদারের ছেলে মো. অপু (২১) ও দিপু (১৯), মো. মতিনের ছেলে মো. রুপম (১৯)।

মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২ মে রাত ১০টার দিকে আসামিরা হেতেমখাঁ এলাকায় ঠিকাদার জাকির হোসেনের শাওনের বাড়িতে গিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। শাওন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা ঠিকাদার শাওনকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।

সেসময় তার গলায় থাকা প্রায় ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় মামলার দুই নম্বর আসামি পৃথিবী। পরে তাদের হট্টগোলে পাশের বাসায় থাকা শাওনের চাচা মো. মোন্নাফ এগিয়ে আসলে তাকেও লোহার রড দিয়ে মারধর করে হামলাকারীরা। এলোপাথাড়ি বাড়ির জানালা ও বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙচুর করে আসামিরা। চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।

জানতে চাইলে মামলার বাদী জাকির হোসেন শাওন বলেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হয়ে আমি রামেক হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করে থাকি। বিষয়টি স্থানীয় বখাটেরা জানার পর আমার কাছে ২৫/৩০ হাজার টাকা চাই। সেটা না দেওয়ায় ২ মে বাড়িতে ঢুকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার বাড়িতে ভাঙচুর এবং আমাকে মারধর করে এবং হত্যার হুমকি দেয় তারা।’

জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইফতেখার মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, ‘মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতার অভিযানে নেমেছে পুলিশ। সোমবার (৪ মে) সকালে জয় ও দিপু নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর