কুড়িগ্রামে কাউন চাষে বাম্পার ফলন

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম | 2023-08-31 04:09:54

অন্যান্য অঞ্চলে বিলুপ্তির পথে গেলেও এখনো ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপকভাবে কাউন চাষ করতে দেখা যাচ্ছে। এ বছর জেলায় কাউনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা সফলতার স্বপ্ন দেখছেন। কম পরিশ্রমে কাউন চাষে লাভ বেশি, এ কারণেই চরাঞ্চলের কৃষকেরা ঝুঁকছেন কাউন চাষে।

কাউন চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাউন চাষে বিঘা প্রতি ব্যয় হয় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে কাউন উৎপাদন হয় ১০-১১ মণ। প্রতি মণ কাউন বাজারে বিক্রি হয় ১২০০-১৪০০ টাকায়। চরের একটি পরিবার ১৫-২০ বিঘা পর্যন্ত কাউনের চাষ করে থাকে। চরাঞ্চলের মানুষজন কাউন চালের সঙ্গে রান্না
করে খায়, পিঠা তৈরি করে, পায়েস ও মলাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলায় কাউনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল না। তবে আবাদ হয়েছে ৪৭০ হেক্টর জমিতে।

কম খরচে লাভ বেশি কাউন চাষে

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর গ্রামের কাউন চাষি মো. বক্তার আলী বলেন, ‘আমাদের এই চরাঞ্চলের অন্যকোনো আবাদ ভালো হয় না। কাউনের আবাদ খুব ভালো হয়। এ কারণে আমরা কাউনের আবাদ করি। খরচও কম, লাভও বেশি।’

চর যাত্রাপুর গ্রামের আরেক কাউন চাষি মো. আব্দুর করিম বলেন, ‘আমরা চরের মানুষ শুধু কাউনে চাষ করি। নিজেও খাই বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাই। আমার বাপ-দাদারাও কাউনের আবাদ করে আসছিল, আমরাও করছি।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক, ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকদের ধানই ঠিক মতো দেখতে পারছি না। আর কাউন তো চরাঞ্চলে বেশি হয়। আগে ধানটা ঘরে উঠানোর দরকার। ওইভাবে এখনো কাউন দেখা হয়নি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর