মসজিদে মুসল্লির ঢল, করোনা মুক্তির প্রার্থনা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-26 07:21:50

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার রোধে সরকারি বিধি নিষেধে এক মাসের বেশি সময় ধরে মসজিদে ছিল না মুসল্লিদের ভিড়। অনেকটাই সুনসানভাবে হাতেগোনা মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ আদায় হয়েছে। কিন্তু এক মাস পর সেই চিত্র বদলে গেছে।

শুক্রবার (৮ মে) রংপুর মহানগরসহ জেলার মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। মসজিদে নামাজ আদায়ে সরকার পূর্বের শর্তারোধ তুলে নেওয়ায় মাহে রমজানের দ্বিতীয় জুমার দিন মসজিদে মসজিদে ছিল মুসল্লিদের ঢল।

মসজিদে জামাতও হয়েছে শারীরিক দূরত্ব মেনে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমার নামাজ আদায় শেষে করোনা মুক্তির প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আজাব-গজবসহ সকল ব্যাধি মহামারি থেকে মুক্তির আশায় অশ্রুসিক্ত মোনাজাত হয় বেশির ভাগ মসজিদে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মসজিদে মসজিদে ঢোকার আগে সাবান পানি এবং জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নেন মুসল্লিরা। নামাজ শুরুর পূর্বে মসজিদের ভেতরও জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হয়।

সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা

নগরীর শাপলা চত্বর হাজীপাড়া এলাকার আশরাফিয়া জামে মসজিদে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসরণে মসজিদে শারীরিক দূরত্ব ও এক কাতার অন্তর অন্তর দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।

এর আগে জুমার খুতবায় মহামারিকালে করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন খতিব। নামাজ শেষে মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়।

এ ব্যাপারে খতিব ইঞ্জিনিয়ার মুশফিকুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মহামারিকালে সবার উচিত নিজের এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় না যাওয়া। সরকার শুরু থেকে জনসাধারণকে করোনার সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করছে। মুসল্লিদের উচিত হবে মসজিদে নামাজ আদায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

আগের রূপে ফিরেছে মসজিদগুলো


উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশের সব মসজিদে মুসল্লি সংখ্যা সীমিত করা হয়। বৃহস্পতিবার জোহর থেকেই নামাজ আদায়ের সুযোগ তৈরি হয়। এরআগে দেশের সব মসজিদগুলোতে পাঁচ ওয়াক্তের জামাতে সর্বোচ্চ পাঁচ জন, জুমার নামাজে ১০ ও তারাবির নামাজে ১২ জন অংশ নেওয়ার অনুমতি ছিল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর