করোনা আক্রান্ত গবেষণা নিয়ে বিজিএমইএ’র বক্তব্যের নিন্দা

, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 21:46:55

দেশে ৯৬ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত— প্রকাশিত গবেষণার বিষয়ে বিজিএমইএ’র দেয়া বক্তব্যের নিন্দা ও পতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।

রোববার (১০ মে) গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাস নাইন বাবু এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে গবেষণাটি না পড়ে, কোন সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না দিয়ে, সম্পূর্ণ মনগড়া ও ঢালাওভাবে আপত্তিকর শব্দে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে।

বিজিএমইএর বক্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেন, দেশের নির্ভরযোগ্য ২৫টি প্রধান দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ একাধিক সূত্র থেকে যাচাই করে ৭ মে ‘৯৬ জন পোশাক শ্রমিকের’ কোভিড-১৯ আক্রান্তের তালিকা প্রকাশ করে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। যা গবেষণার পদ্ধতিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে।

সংগঠনটির নেতারা আরও বলেন, কেবল পত্রিকায় পাওয়া কিছু তথ্য সন্নিবেশে করেই ৯৬ জন করোনা আক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে গবেষণায় এবং তথ্য প্রবাহ অবাধ থাকলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিস্ময়কর বিষয় হলো বিজিএমইএ গবেষণা পত্রটি না পড়েই প্রকাশিত তথ্যকে ‘যাচাইপূর্বক’ নয়, ‘বিভ্রান্তিকর’, ‘সততা ও স্বচ্ছতার আশ্রয় না নেয়া’ বলে মন্তব্য করেছে, যেটা সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

তারা বলেন, পোশাক শ্রমিকরা বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। তাদের কেবল সংখ্যা হিসাবে না দেখে মানুষ এবং নাগরিক হিসাবে দেখাই সকলের কর্তব্য। কারণ শ্রমিক বাঁচলে দেশীয় শিল্প, দেশ এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতক অর্থনীতিও বাঁচবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিজিএমইএর ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে ৭ মে পর্যন্ত পোশাক শ্রমিকদের আক্রান্তের সংখ্যা সরকার ঘোষিত মোট আক্রান্তের ০.১৬ ভাগ অর্থাৎ ২০ জনেরও কম। কিন্তু দেশের প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে প্রকাশিত তথ্য বিজিএমইএ’র এ দাবিকে সমর্থন করে না।

তারা বলেন, বরং আক্রান্ত শ্রমিকের সংখ্যা যে ৯৬ এরও বেশি সেই সত্যতা সকল প্রধান দৈনিক, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং খোদ সরকারি কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তকর্তাদের কাছেই আছে।

শ্রমিক নেতারা বলেন, গবেষণার তথ্যকে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ উৎস থেকে নেয়া হয়নি বলে অভিহিত করে বিজিএমইএ কার্যত দেশের সকল নির্ভরযোগ্য প্রধান পত্রিকাসহ গণমাধ্যমকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। একই সাথে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির আন্তরিক, দায়িত্বশীল এবং যত্নশীল কাজ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি এবং গবেষণায় উত্থাপিত প্রস্তাবণা ও শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা, দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গটি আড়াল করার উদ্দেশ্যে বিজিএমইএর ওয়েবসাইটে এই গবেষণা ও তথ্যকে অস্বীকার করার চেষ্টা করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর