রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে নতুন করে আরও ৩৩ জন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। এ নিয়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।
মঙ্গলবার (১২ মে) বিকেলে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে নতুন চিকিৎসকরা যোগদান করেন। তারা ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা নতুন চিকিৎসকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। নতুন এই চিকিৎসকরা যোগদান করায় রংপুর বিভাগের একমাত্র ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে এসব চিকিৎসকদের যোগদান অনুষ্ঠানে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ আমিন আহমেদ খান জানান, নতুন চিকিৎসকরা যোগদান করায় এ হাসপাতালে রোগীদের দ্রুততার সাথে চিকিৎসা প্রদানসহ সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রাখা সম্ভব হবে। নতুন চিকিৎসক পেয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রংপুর বিভাগ এক ধাপ এগিয়ে গেলো। তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
রংপুর বিভাগে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিলো চিকিৎসকদের। স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিকিৎসক সংকটের তথ্য তুলে ধরলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ হাসপাতালে নতুন করে ৩৩ জন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
রংপুর নগরীর সদর হাসপাতাল সংলগ্ন নবনির্মিত ১’শ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালকে গত ১৯ এপ্রিল ১’শ শয্যা বিশিষ্ট রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১০ শয্যার আইসিইউ সাপোর্ট, পুরুষ রোগীদের জন্য ৬০ শয্যা ও নারী রোগীদের জন্য ৩০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এই হাসপাতালে রংপুরের ১১ জন চিকিৎসক, ২৬ জন নার্স ও আয়া-ওয়ার্ড বয় ১৯ জন নিয়োজিত রয়েছে। আইসিইউ পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন ৮ জনের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম।