গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে স্নিগ্ধ ‘কৃষ্ণচূড়া’

, জাতীয়

তোফায়েল হোসাইন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-30 23:52:18

কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপদাহ চলছে দেশজুড়ে। গ্রীষ্মের খরতাপে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দিতে নানা রঙে সেজেছে গ্রামবাংলার প্রকৃতি। আম, কাঁঠাল লিচু, লেবুসহ গাছে গাছে ধরেছে  বাহারি রঙের ফুল ও ফল।

গাইবান্ধার পথের ধারে দেখা মিলল রক্তিম বর্ণের ‘কৃষ্ণচূড়া’। এ গাছের রক্তলাল থোকা থোকা ফুলগুলো পথিকের হৃদয় ছুঁয়ে দিচ্ছে। 

বুধবার (১৩ মে) সকালে গাইবান্ধা-মাদারগঞ্জ সড়কের তরফ বাজিত এলাকার মোন্নাফ মিয়ার বাড়ির সংলগ্ন স্থানে দেখা মেলে ফুটন্ত কৃষ্ণচূড়া।

অর্ধশতবর্ষী গাছটির সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে থোকা থোকা রক্তিম ফুল। রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে মৃদু বাতাসে বেশ কিছু ফুল ঝড়ে পড়তেও দেখা গেছে মাটিতে। কেউ কেউ শখের বশে সেই ফুল কুড়িয়ে নিচ্ছেন।

এ সময় জেসমিন আক্তার জুঁই নামের এক কলেজছাত্রী বলেন, গাইবান্ধা-মাদারগঞ্জ সড়কে দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি। সম্প্রতি কৃষ্ণচূড়া ওই গাছটির দিকে তাকালে মনে প্রশান্তি আসে।  গ্রীষ্মের এই তাপদাহে থোকা থোকা ফুলগুলোর দিকে তাকালে খানিকটা প্রাণ জুড়িয়ে আসে।

আরেক কলেজছাত্র তৌফিকুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই কৃষ্ণচূড়া গাছটির কাছাকাছি আসলে কণ্ঠশিল্পী কিশোর কুমারের জনপ্রিয় ‘আশা ছিল, ভালোবাসা ছিল, আজ আশা নেই, ভালোবাসা নেই। এই সেই কৃষ্ণচূড়া, যার তলে দাঁড়িয়ে…- গানটার কথা মনে পড়ে।

গাইবান্ধা বন বিভাগ কর্মকর্তা আব্দুর সবুর মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগে গ্রামাঞ্চলে প্রচুর কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল। এর কাঠ দিয়ে তৈরি করা হত নানা ধরনের আসবাপত্র। যা ছিল টেকসই-মজবুত। এখন বিভিন্ন প্রযুক্তিতে তৈরি আসবাপত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন কাঠ জাতের গাছের কদর কমেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর