টাঙ্গাই‌লে প্রসূতি মা করোনায় আক্রান্ত

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল | 2023-08-24 21:22:48

টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক প্রসূতি মা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার (১৩ মে ) থেকে হাসপাতালের গাইনি অপারেশন থিয়েটার লকডাউন করা হয়েছে।

ওই প্রসূতি মায়ের সংস্পর্শে আসা ছয় চিকিৎসকসহ ১৭ স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তারা করোনায় আক্রান্ত কি না এজন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গাইনি বিভাগে ভর্তি হওয়া ২১ বছর বয়সী এক নারী গত ৯ মে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেন। তারপর ওই নারীকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে তার নমুনা সংগ্রহের সময় শুধু নাম ও স্বামীর মোবাইল নম্বর রাখা হয়। তার বিস্তারিত ঠিকানা রাখা ছিল না।

মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ওই নারী তার মায়ের ভাড়াটিয়া বাড়ি সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের তারুটিয়া গ্রামে চলে যান। এদিকে তার সন্ধানে প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ মঙ্গলবার সারাদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে। রাত সাড়ে ১১টায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায় তারুটিয়া গ্রামে। সেখানে তিনি একটি ছোট ঘরে মা-বাবা ও এক বোনসহ মোট পাঁচজন অবস্থান করছিলেন। পরে পাশের একটি ঘরে তাকে রেখে পুরো বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে যাওয়া ওই মা করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে বুধবার গাইনি অপারেশন থিয়েটার লকডাউন করা হয়েছে। ওই নারীর সিজারিয়ান অপারেশনে অংশ নেওয়া এবং তার সংস্পর্শে আসা ছয়জন চিকিৎসক, আটজন নার্স ও তিনজন আয়াকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তারা করোনায় আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে আট মাসের শিশুসহ একই পরিবারের চারজন এবং ঘাটাইলে আরও একজনসহ মোট পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ওয়াহীদুজ্জামান জানান, এ নিয়ে জেলায় মোট ৬০ জন আক্রান্ত হলো।

নাগরপুরে আক্রান্ত হওয়া ওই পরিবার সহবতপুর ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবে কর্মরত ওই পরিবারের ছেলে গত ৭ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তার সংস্পর্শে এসে তার মা, বাবা, স্ত্রী ও আট মাসের শিশু সন্তান আক্রান্ত হয়েছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান জানিয়েছেন। রাতেই ওই বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর