৯৯৯-এ কল করে দৃষ্টি আকর্ষণ, ঘর পেলেন হতদরিদ্র নারী

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী | 2023-08-26 15:04:10

৯৯৯-এ কল করে নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন পটুয়াখালী পৌরসভার ড্রেনের ওপর ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করা হতদরিদ্র নাহার বেগম।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী আবাসনে তাকে একটি ঘর দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (১ মে) দুপুরে তার হাতে ঘরের চাবি ও কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফা জান্নাতী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অনত্র চলে যাওয়ায় এক ছেলেকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন নাহার বেগম। ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পৌরসভার লাউকাঠী খেয়াঘাট এলাকায় ড্রেনের ওপর। সেখানেই ঝুপড়ি ঘর করে কয়েক বছর ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি ও তার ছেলে।

নাহার বেগম জানান, তার স্বামী তার ও সন্তানের কোনো ভরণ-পোষণ দিচ্ছেন না। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। নিজের আট বছরের বাচ্চাকে নিয়ে বাসায় বাসায় কুরআন শিখিয়ে যে টাকা পান, তা দিয়েই জোটে তাদের দু’বেলার ভাত। কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘ দুই মাস কুরআন পড়ানো বন্ধ। ফলে দিশেহারা হয়ে তিনি গত ২০ এপ্রিল জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে নিজের কষ্টের কথা জানান এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ঘরের চাবি ও কাগজপত্র বুঝিয়ে দিচ্ছেন ইউএনও, ছবি: বার্তা২৪.কম

তার তথ্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর কাছে পাঠানো হলে তিনি তার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের মাধ্যমে নাহার বেগমের সাথে যোগাযোগ করেন। যোগাযোগের পর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সদর উপজেলার ভূমি অফিসের মাধ্যমে তার থাকার জন্য পটুয়াখালী লাউকাঠী আবাসনে একটি ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

ঘর পেয়ে আনন্দ অশ্রুসিক্ত নয়নে নাহার বলেন, ঝড়-বৃষ্টিতে এখন আর ভিজতে হবে না, আশ্রয় খুঁজতে হবে না। আমি প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

ইউএনও লতিফা জান্নাতী জানান, একজন মা ও ছেলের ড্রেনের ওপর ঝুপড়িতে বসবাস করতেন। কিন্তু সেখানেও তিনি থাকতে পারছেন না। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে আজ এক নম্বর লাউকাঠি আবাসনে তাদের বসবাসের জন্য একটি ঘর দেওয়া হলো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর