গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রাবেয়া বেগম (২৬) নামের এক প্রসূতি মা একই সঙ্গে ৩টি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া এসব জমজ নবজাতকদের খাদ্যের টাকা সংগ্রহে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মা।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বদলাগাড়ী (সোনারপাড়া) গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রসূতি মা রাবেয়া বেগম তার নবজাতক শিশুদের পাশে বসে সেবা-যত্নের চেষ্টা করছিলেন।
এসময় জানা যায়, রাবেয়া বেগমের স্বামী রিয়াজুল ইসলাম রাজার বসত ভিটা ছাড়া অন্য কোনো সম্পদ নেই। রাজা মিয়া কুষ্টিয়া জেলার একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করেন। করোনা পরিস্থিতিতে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে পরিবারটির।
গত ২২ এপ্রিল গাইবান্ধার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাবেয়াকে। সেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একই সঙ্গে তিনটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন রাবেয়া বেগম। প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। ধার-দেনা করে এ টাকার যোগান আসে। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকার খাবার দিতে হচ্ছে শিশুদের। বর্তমানে এই খাদ্য যোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে রাজা মিয়াকে। এখন চাহিদার তুলনা খাবার দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। ফলে যমজ তিন শিশুদের বাঁচাতে দুশ্চিন্তায় রয়েছে রাবেয়া ও রাজা মিয়া।
এ বিষয়ে রাবেয়া বেগম বলেন, সন্তানের বাবা রয়েছে কুষ্টিয়া কর্মস্থলে। সন্তান প্রসবকালীন অনেক টাকা ঋণ করতে হয়েছে। এখন আর হাতে কোনো টাকা নেই। নবজাতকদের ঠিকভাবে চিকিৎসা ও খাদ্য দিতে পারছি না। যমজ শিশুদের বাঁচাতে
দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আজাহার আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, ওই পরিবারের বিষয়টি জানা ছিল না। দেখা যাক কিছু করা যায় কিনা।