মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সফল করতে কাউন্সিলরদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চান ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের ব্যাপারে প্রত্যেক কাউন্সিলরকে জবাবদিহি করতে হবে। মশা নিয়ন্ত্রণ যেন ঠিক মতো হয়, সেজন্য প্রত্যেক কাউন্সিলর ব্যক্তিগতভাবে মনিটর করবেন। নির্ধারিত গুণ ও পরিমাণ বজায় রেখে মশা নিধক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে কিনা তা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে শনিবার (১৬ মে) থেকে অনুষ্ঠেয় চিরুনি অভিযান সর্বাত্মকভাবে সফল করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নবনির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের আহ্বান জানান মেয়র আতিক।
শুক্রবার (১৫ মে) ডিএনসিসির দু’টি পৃথক অনলাইন সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। অনলাইন সভায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর, ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রথম সভায় মেয়র আতিক আরো বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরবাসীর কল্যাণসাধন করা। আমাদের কাছে নগরবাসীর অনেক প্রত্যাশা। তাই কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দিতে হবে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে সাংবাদিক ও জনগণ কেউই ছাড় দেবে না।
উন্নয়নকাজগুলোর গুণগতমান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করার তাগিদ দেন তিনি।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে শনিবার শুরু হতে যাওয়া চিরুনি অভিযান সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সফল করার জন্য কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।
উল্লেখ্য, চিরুনি অভিযানে প্রাপ্ত এডিস মশার বংশবিস্তারের বিস্তারিত তথ্য (ছবি, বাড়ি/ভবন/প্রতিষ্ঠানের মালিক, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি) সাথে সাথে ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করা হবে। এর ফলে ডিএনসিসি এলাকার কোথায় কোথায় এডিস মশার বংশবিস্তার ঘটছে, তার একটা তালিকা পাওয়া যাবে। সব তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখতে পাবেন এবং পরে তা মনিটর করা সহজ হবে।
মেয়র বলেন, আগামীকাল থেকে ডিএনসিসির অঞ্চল-এক থেকে পাঁচের প্রতিটি অঞ্চল থেকে একটি করে ওয়ার্ডে এ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। রমজান ও করোনার কথা বিবেচনায় নিয়ে ঈদের আগ পর্যন্ত মোট পাঁচটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে ঈদের পরে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান চালানো হবে।
করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ বিতরণ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। যাদের প্রকৃতপক্ষে ত্রাণের প্রয়োজন, তাদের ত্রাণ দিতে হবে। ত্রাণ নিয়ে কোনো রকম নয় ছয় সহ্য করা হবে না।
প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের মাধ্যমে যে পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করা হয়, একই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরের মাধ্যমে তার ২০ শতাংশ ত্রাণ বিতরণ করার নির্দেশ দেন তিনি।
মেয়র এসময় কাউন্সিলরদের প্রতি মাসে একবার ফেসবুক লাইভে জনগণের মুখোমুখি আসার আহ্বান জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মইজুর রহমান, আফসার উদ্দিন খান, ইসহাক মোল্লা, লিয়াকত আলী, মতিউর রহমান, আবুল কাশেম মোল্লা, রাজিয়া সুলতানা ইতি, দেওয়ান আবদুল মান্নান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।