করোনাভাইরাস সংক্রামণ এড়াতে সারাদেশের ন্যায় ঢাকা আরিচা মহাসড়কে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবুও প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ নানা মাধ্যম ব্যবহার করে কৌশলে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন মানুষ। এদের ঠেকাতে মহাসড়কে এবার কঠোর অবস্থানে জেলা পুলিশ।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটের প্রায় ৩৩ কিলোমিটার আগে মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে আটকে দেওয়া হচ্ছে যাত্রী বহনকারী সকল ধরনের যানবাহন। তবে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও পায়ে হেঁটে ফের মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা করে গন্তব্যে যাচ্ছে অনেকেই। এতে করে যাত্রীদেরকে গুনতে হচ্ছে সাধারণ সময়ের চেয়ে ৮-১০ গুন বেশি ভাড়া।
রোববার (১৭ মে) বেলা সোয়া ১১টায় সরেজমিনে মহাসড়কের গোলড়া এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো আগত পথেই ফেরত পাঠাচ্ছে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ।
গোলড়া এলাকায় আটকে যাওয়া প্রাইভেটকার চালক ও মালিক আমীরুল ইসলাম জানান, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকায় নানি বাড়ি যাচ্ছিলেন পরিবার নিয়ে। ঢাকায় গৃহবন্দী থেকে ক্লান্ত হওয়ায় নানি বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। তবে অনেক বুঝানোর পরও পুলিশ যেতে না দেওয়ায় ফের ঢাকা ফেরত যাচ্ছেন তারা।
আব্দুল ওয়াহাব নামের এক যুবক জানান, অসুস্থ বাবার রিপোর্ট দেখাতে মোটরসাইকেল করে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তিনি ও তার বড় ভাই। তবে যাত্রী ভেবে পুলিশ তাদের মোটরসাইকেলও ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ায় হাসপাতালে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে জানান, ঢাকা আরিচা মহাসড়ক দিয়ে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল বা অন্যান্য মাধ্যমে করে পাটুরিয়া ঘাট হয়ে বাড়ি যাচ্ছে। করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে এদেরকে যাত্রাপথ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে জরুরি যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।