মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে দুটি বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় অপহৃত ৯ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মে) গভীর রাতে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সুখচর ইউনিয়নের উত্তর পাশে গাসিয়ার চরের কাছে মেঘনা নদী থেকে তাদের আটক করা হয়।
রোববার ভোরে আটক জলদস্যুদের হাতিয়া থানায় সৌপর্দ করেছে কোস্টগার্ড।
হাতিয়া কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিন ধরে মেঘনা নদী থেকে বিচ্ছিন্নভাবে জলদস্যুরা ৯ জন জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছিল।
খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ৫ জলদস্যুকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় জলদস্যুদের কাছ থেকে দুটি বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গুলি ও ৫টি রামদা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে জলদস্যুদের অপহৃত ৯ মাঝিকেও উদ্ধার করেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
আটক ৫ জলদস্যু হলেন— লক্ষ্মীপুর জেলার কমলগঞ্জ থানার তালতলি ইউনিয়নের চরমাটিয়া গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে মো. পারভেজ (২৭), একই জেলার একই থানার চর কাদিরা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল হোসেন (২৮), একই জেলার রামগতি উপজেলার চরগজারিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হারুন (৩৫), ভোলা জেলার তজুমদ্দি উপজেলার চরজহিরুদ্দিনের মফিজ মাস্টারের ছেলে মো. হোসেন (৩৩), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর গজারিয়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হাসান (৪৫)।
উদ্ধার করা ৯ জন জেলের মধ্যে একজনের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় অন্যদের সবার বাড়ি হাতিয়া উপজেলায়।
হাতিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. বিশ্বজিত বড়ুয়া জানান, আটক জলদস্যুদের বিরুদ্বে কোস্টগার্ড বাদী হয়ে অস্ত্র ও ডাকাতি আইনে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেছে।