দেশের সমুদ্রসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব সব ধরনের মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিস প্রভৃতি) আহরণ নিষিদ্ধ। এ সময় বিদেশি বা দেশি মৎস্য আহরণকারীদের অবৈধ মৎস্য আহরণ যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। দেশের অর্থনীতির জন্য, মানুষের পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য এটা করতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রোববার (১৭ মে) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমুদ্রে ৬৫দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকাল কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে আয়োজিত অনলাইন সভায় তিনি এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘পুষ্টির অভাব দূর করতে হলে মাছের চাষ বৃদ্ধি করা খুবই দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন, মাছের যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমরা অর্জন করেছি, এর পরিসরকে আরও বাড়াতে হবে। যাতে বিদেশে মাছ রফতানি করে গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করতে না পারলে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সংকট থেকে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যেন কোনোভাবেই উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত না হয়।”
তিনি আরও বলেন, ‘সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেদের আমরা মাসিক ৪০ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। করোনা পরিস্থিতিতে এটা বণ্টন করা জটিল কাজ। এ কাজে সম্পৃক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মৎস্যজীবীদের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির খাতটি অনেক উন্নতি ঘটেছে। খাদ্য সহায়তায় পরিবহন খরচ ছিল না। পরিবহন খরচ সরকারের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে পৌঁছানো হবে।”