অর্থের বি‌নিময়ে করোনামু‌ক্তির সনদ, আটক ১

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা | 2023-08-08 05:11:13

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড ফ্লু কর্নার থেকে পরীক্ষা ছাড়াই করোনা মুক্ত সনদপত্র দেওয়ায় আরিফুল হোসেন (৩০) নামে এক আউট সোর্সিং কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উক্ত কর্মচারীকে ৭ হাজার টাকা জ‌রিমানা ও আউট সোর্সিংয়ের পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার (১৭ মে) দুপুরে তাকে আটক করা হয়। আরিফুল যশোরের অভয়নগরের আফজাল ম‌ল্লিকের ছেলে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার বেলা ১১টার দিকে খুমেক হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক আসে করোনামুক্তির সনদপত্র নিতে। এ সময় তাদেরকে করোনা মুক্তির সনদ দেওয়ার জন্য প্রত্যেকের কাছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে আরিফুল হোসেন। শ্রমিকরা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ‌্যমে তাকে ৭ হাজার টাকা জ‌রিমানা ও আউট সোর্সিংয়ের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

সোনাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বলেন, হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়ার পর আউটসোসিং কর্মচারী আরিফুল হোসেনকে আটক করা হয়। শ্রমিকরা আমাদের জানিয়েছে করোনা মুক্তির সনদ দেওয়ার জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা না করে করোনামুক্তির সনদ দিয়েছে। পরে আটক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।

খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রাকিবুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ওই আউটসোর্সিং কর্মচারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও তাকে খুমেক হাসপাতালের চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

খুমেক হাসপাতালের পরিচাকল ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার বলেন, করোনামুক্ত সনদ আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। কেউ সনদ নিতে আসলে তার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে করোনার কোনো উপসর্গ না পাওয়া পেলে তা লিখে দেওয়া হয়। এটা করোনা মুক্তির সনদপত্র।

তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের কিছু আউটসোসিং কর্মচারী ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা করোনার সনদ নিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছে। তারা এটাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। সনদ নিতে আসছে যারা তাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। তারা খুবই কৌশলে এই কাজটা করছে। হাসপাতালে ৩০২ জন আউটসোসিং কর্মচারী ও ৯৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একাংশই মূলত এসব কাজে লিপ্ত। এখানে বাইরের কোনো দালাল নেই। এরাই মূল দালাল। তারা হাসপাতাল পরিষ্কার পরিছন্নতার কাজ বাদ দিয়ে এসব করে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কর‌ছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর