করোনা মহামারির এ সময়ে তরুণদের রক্ষা ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাময়িকভাবে তামাক নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা), কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও মানবাধিকার সংগঠন ইলমা।
সোমবার (১৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবষেণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইটে তুলে ধরা তথ্য মতে, বাংলাদেশে নারীর চেয়ে পুরুষদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেশি। তবে পুরুষদের মধ্যে তরুণদের একটি বিশাল অংশকে করোনায় আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে।
বর্তমানে দেশে বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণ বলছে, ২১-৩০ বছর বয়সীদের করোনা শনাক্ত হচ্ছে বেশি। এ জনগোষ্ঠীর ২৬ শতাংশই করোনা আক্রান্ত।
তরুণদের নিয়ে আইইডিসিআরের প্রকাশিত এক ইনফোগ্রাফের তথ্য নিয়ে বিশ্লেষকরা বলেছেন, তামাক সেবনকারীদের আক্রান্তের হার বেশি হওয়ার কারণ হলো তাদের ফুসফুস দুর্বল থাকে। ধূমপান ও অন্যান্য ধোঁয়াবিহীন তামাকে অভ্যস্ততার কারণে তরুণদের ফুসফুস দুর্বল থাকে। করোনা প্রথমেই শ্বাসতন্ত্রে আঘাত হানায় তরুণরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, করোনা রোধে বিভিন্ন দেশ এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তামাক ব্যবহারের কারণে করোনায় আক্রান্ত হওয়া এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এছাড়া তামাকজাত দ্রব্য ফুসফুসের সংক্রমণ ও অসুস্থতা বাড়ায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, যা করোনা সংক্রমণের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ সতর্কতা আমলে নিয়ে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বতসোয়ানা ইতোমধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে এ বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর অনুরোধ জানানো হয় বিবৃতির মাধ্যমে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতিবছর এক লাখ ২৬ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বর্তমানে দেশে তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং প্রায় চার কোটি ১০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।