ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৯) দিনভর বরিশালের আকাশে কখনো কালো মেঘ, কখনো কাঠ ফাঁটা রোদ, আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল।
কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে শুরু হয় থেমে থেকে বৃষ্টি।
রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বরিশালে ৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে বরিশাল আবহাওয়া অফিস। তবে এসময় বাতাসের গতিবেগ স্বাভাবিক ছিল।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহফুজূর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পান পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (১৯ মে) রাত পেরিয়ে আম্পান বুধবার বিকেল বা সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এজন্য পায়রা সমুদ্রবন্দরে জন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত থাকলেও বরিশাল নদীবন্দরের জন্য তা ১ নম্বর বলবৎ আছে।
বরিশাল নৌ-সংরক্ষণ ও ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এসএম আজগর আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় প্রস্ততি হিসেবে বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে সব নৌযানকে নিরাপদ স্থানে রাখার নির্দেশ দেওয়া, পন্টুনে থাকা কর্মীদের সতর্কাবস্থায় রাখার পাশাপাশি উদ্ধারকারী নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় প্রায় ১১ লাখ মানুষের আশ্রয়ের জন্য ৬ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করার পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ৪১৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাক্তার বাসুদেব কুমার দাস।