ঈদকে ঘিরে ঘরে ফেরা মানুষের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদের আনন্দ যেন বিষাদ সিন্ধুতে পরিণত না হয়। যারা পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে স্থানান্তর হচ্ছে নানান কৌশলে, তাদের মনে রাখা উচিত পুলিশকে ফাঁকি দিলেও করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।
শনিবার (২৩ মে) তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, ঈদে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যেন নতুন ট্রাজেডি বয়ে নিয়ে না আসে, সে কথা মাথায় রেখেই ঈদ উদযাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী জীবন এমন থাকবে না। করোনা পরবর্তীতে পৃথিবী কেমন হবে সেটা অনিশ্চয়তার কালো মেঘ থেকেই যাচ্ছে। তবু জীবন থেমে থাকবে না। জীবন বদলে যাওয়া নতুন পৃথিবীতে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। নিজেদের জীবন বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। জাতি হিসেবে বিশৃঙ্খল বিবেক করোনা সংক্রমণকে সর্বগ্রাসী ও বিধ্বংসী করে তুলতে পারে।
এসময় তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, করোনা মোকাবিলায় ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া যা পারছে আমরা কেন পারব না?
তিনি বলেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে ভারসাম্যমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্যোগের অমানিশায় মানবতার বাতিঘর শেখ হাসিনা আপনাদের সঙ্গে রয়েছে, সাহস ও মনোবল নিয়ে করোনা মোকাবিলা করতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী করোনার এই সংকটকালে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে গণমাধ্যমে এমন প্রতিবেদনের জবাবে বলেন, পদ্মা সেতুসহ দেশের অন্যান্য মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। ঈদের পর প্রকল্পের কাজ আরও গতি পাবে।