গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় ৩ থেকে ৪টি দোকান ও ১টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে বনগ্রাম বাজার ও আইকদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ১২ জনকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অন্যদেরকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বনগ্রাম বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে আলমগীর মিয়ার ওষুধের দোকানের সামনে একটি ইজিবাইক রাখা হয়। এ কারণে আলমগীর মিয়ার সঙ্গে ইজিবাইক চালক মহারাজপুর গ্রামের লাবলু খানের ঝগড়া হয়। এরই জেরে বনগ্রাম ও মহারাজপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
এ সময় ৩ থেকে ৪টি দোকান ও ১টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনগ্রাম বাজারের পাশের গ্রাম আইকদিয়া ও পাইকদিয়া গ্রামবাসীও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। পুলিশ প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদও আহত হন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।