রংপুরে বিষাক্ত মদ পানে আরও তিনজনের মৃত্যু

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-30 06:02:15

রংপুরে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে গিয়ে নেশা জাতীয় বিষাক্ত স্পিরিট (মদ) পানে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

বুধবার (২৭ মে) দুপুরে রমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নিহতরা হলেন- বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নুর ইসলাম (৩০), রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের সরোয়ার হোসেন (৩১) ও মোস্তফা কামাল (৩০)।

এদের মধ্যে আজ (২৭ মে) সকালে নুর ইসলাম এবং মঙ্গলবার (২৬ মে) সকালে সরোয়ার ও মোস্তফা কামাল মারা যান। এর আগে গত দুই দিনে পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুরে আরও ছয় জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে রংপুর জেলায় তিনদিনে নয়জনের মৃত্যু হলো। এ ঘটনায় আরও আট-দশজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাড়িতে ও হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে আজ (বুধবার) নতুন করে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চন্দনপাট ইউনিয়নের খইল্লাপাড়া ও পুটিমারীর সরোয়ার হোসেন ও মোস্তফা কামাল এবং বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে নুর ইসলাম মারা গেছেন। এরমধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে মোস্তফা ও সরোয়ারের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছে তাদের পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদকে ঘিরে একটি সংঘবদ্ধ দল শ্যামপুর বাজার এলাকায় মদ ও বিষাক্ত স্পিরিট পানের আসর বসায়। ঈদের দিন সোমবার (২৫ মে) রাতে নেশা জাতীয় নিষিদ্ধ স্পিরিট পান করেন কয়েকজন। একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে সরোয়ার হোসেন ও মোস্তফা কামাল এবং বুধবার সকালে নুর ইসলাম মারা যান। মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে তাদের দাফন করেন স্বজনরা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।

এ ব্যাপারে রংপুর সদর কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম জানান, নেশা জাতীয় স্পিরিট পান করে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেশার উৎস এবং সরবরাহকারীকে খুঁজে বের করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর