কোভিড-১৯ একটি সংক্রামক রোগ, যা হাঁচি-কাশি ও সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। জনসমাগম এ রোগের বিস্তারের জন্য সহায়ক। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এই রোগ সংক্রমণের হার সুনির্দিষ্টভাবে না কমার আগে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চালু করলে রোগের হার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬ষ্ঠ সভায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হলে সংক্রমণের হার বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, এ বিষয়ে গত ৭ মে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রযোজ্য বিধি-বিধানসমূহ সঠিক পদ্ধতিতে প্রয়োগ না করে শিথিল করা হলে রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
সভায় আরও জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড-১৯ রোগে হাইড্রোক্সি-ক্লোরোকুইন নামক ওষুধ ব্যবহারের ঝুঁকি সম্বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে এ ওষুধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসার গাইড লাইনে এ ওষুধ না রাখার পরামর্শ দিচ্ছে। আইভারমেকটিন, কনাভালোসেন্ট প্লাজমা ও অন্যান্য অননুমোদিত ওষুধ কেবলমাত্র সুনির্দিষ্টভাবে অনুমোদিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে ব্যবহার না করার সুপারিশ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ সমস্ত ওষুধ বা চিকিৎসা ব্যবস্থা বা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছে।
ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ ও অন্যান্য রোগীর চিকিৎসা একই হাসপাতালে পৃথক পৃথক ব্যবস্থায় করার নির্দেশনা দিয়েছে। জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি এ সিদ্ধান্ত সঠিক মনে করে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনিক, সাংগঠনিক, জনবল ও সরঞ্জামসমূহের বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছে।