আম্পানের ক্ষত না শুকাতেই ফের কালবৈশাখী ঝড়ের হানায় যশোরে বাড়িঘর ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ঘরবাড়ির এখনও মেরামত চলছে। এরই মধ্যে বুধবার (২৭ মে) রাতে আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়।
ঘণ্টাখানেকের ঝড় ও বৃষ্টিপাতে জেলার অনেক জায়গায় কাচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এবারও সবজি খেতের পাশাপাশি আম ও লিচুর ক্ষতি হয়েছে। আম্পানের আঘাতে নাজুক হয়ে পড়া অনেক টিনের বাড়ির চাল উড়ে গেছে। ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে বাড়ির আশপাশের বিদ্যুতের তারও ছিড়ে যায়।
যশোর সদরের ভাতুড়িয়া এলাকার তরিকুল ইসলাম জানান, আম্পানে তাদের রাইস মিলের টিনের চালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি মেরামতও শুরু করেন কিন্তু চালার মেরামত শেষ না হতেই ফের মৌসুমি ঝড় এসে চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
শহরের রেলগেট এলাকার হালিমা বেগম, সুফিয়া খাতুনসহ বেশ কয়েকজন জানান, আম্পানে তাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ দিন ঝড়ে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে আম্পানের তাণ্ডবের পর যশোরের অনেক এলাকায় এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যশোরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস থেকে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। জানা গেছে, আম্পানে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫শ’ ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই সাথে ১ শ’ ১৫ একর সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। দুই হাজার ৮৫০ টি গৃহপালিত প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আট উপজেলায় টিন বিতরণ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ভেঙে যায় ঘর ঠিক করার জন্য প্রায় ১ হাজার ৪০০ বান টিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খাদ্যসহায়তা হিসেবে ১শ’ মেট্রিকটন চালও বিতরণ হচ্ছে।
তবে আম্পানে যশোরে অনেক সংখ্যক সবজির খেত নষ্ট হলেও মৌসুমি কালবৈশাখীর প্রকোপে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছে যশোরের কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান বার্তা ২৪.কমকে জানান, আম্পানের কারণে অনেক সবজির খেত নষ্ট হয়েছিল। কিন্তু এরপরের হয়ে যাওয়া ঝড়বৃষ্টিতে সবজি খেতের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।