নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় সুতী নদীর খননকাজ শেষ না হতেই ভরাটের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন স্থানীয় এক স্বার্থান্বেষী মহল। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই মহলটি গ্রামবাসীর বাধা না মানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকার সচেতন লোকজন।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের কয়েকটি বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য বাড়লা খালের সাথে সংযুক্ত সুতী নদীর ১ কিলোমিটার সরকারিভাবে খনন করা হচ্ছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ওই নদীর খননকাজ হচ্ছে। এদিকে প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই নদীর কয়েকটি স্থানে পুনরায় কৌশলে ভরাট করে দখল নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন মজলিশপুর গ্রামের দুই ভাই আব্দুস সালাম ও আবুল হাসেম গংরা। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এ দুই ভাই মূলত প্রভাব খাঁটিয়ে ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রকল্পের টিকাদার এমনিতেই দায়সারা গোছের নদীর খননকাজ করেছেন। যা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এরই মাঝে খননকাজ শেষ না হতেই নদীর পাড়ের মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে খেটে নদীতে পার বেঁধে পুনরায় নদী দখল করে নিয়েছেন হাশেম গংরা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগকারী মজলিশপুর গ্রামের জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, সুতী নদীটি খনন হওয়ায় ইউনিয়নের কয়েকটি বিলের পানি নিষ্কাশন সহজ হয়। কিন্তু আবুল হাশেম ও তার ভাইয়েরা নদীর পাশে জমি থাকায় খনন করে যাওয়ার সাথে সাথেই তারা ভেকু মেশিন দিয়ে নদীর পাড় কেটে নদীতে পাড় বেঁধে দখল করে নিয়েছেন। শুরুতেই যদি এভাবে দখল করে নেয়া হয় তাহলে খনন করে কী লাভ। আর সরকারে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে কীভাবে। আমরা গ্রামবাসী বাধা দিলে তারা আমাদের প্রতি বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবুল হাশেম জানান, ভেকু মেশিন দিয়ে নদী খননের সময় পাড়ের মাটি আমার জমিতে পড়ে এই মাটি পাড়ে তুলতে গিয়ে কিছু মাটি নদীতে পড়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলামেরর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে অভিযোগটি এখনো দেখিনি। দেখে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।