পদ্মা সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের উপর বসানো হলো ৩০তম স্প্যান। এই স্প্যানটি বসানোর ফলে সেতুটির সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
শনিবার (৩০ মে) সকালে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বার্তা২৪.কম-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ৩০তম স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয় বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ৪১ টি স্প্যানের মধ্যে ৩০ তম স্প্যান বসানো হলো। এখন আরও ১১টি স্প্যান বসানো বাকি রয়েছে। জুনে বসবে ৩১ তম স্প্যান। চলতি বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে সব স্প্যান বসানোর নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। সবগুলো পিলারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হচ্ছে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হয়।
এছাড়া পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। যার মধ্যে শনিবার দৃশ্যমান হলো ৪.৫০ কিলোমিটার।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। আগামী বছরে শেষে হতে পারে পদ্মা সেতুর কাজ। তারপরেই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল করবে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ৩২ এবং ৩৩ নম্বর পিলারের উপর বসেছে ২১তম স্প্যান এবং ২৩ জানুয়ারি প্রান্তের ৫ এবং ৬ নম্বর পিলারের উপর বসেছে ২২তম স্প্যান এবং ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে বসেছে ২৩তম স্প্যান, ১১ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৪তম স্প্যান এবং ২১ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৫তম স্প্যান। ১০ মার্চ বসেছে ২৬তম স্প্যান এবং ২৮ মার্চ বসেছে ২৭তম স্প্যান। ১১ এপ্রিল বসেছে ২৮ তম স্প্যান। চলতি মাসের ৪ মে বসেছে ২৯ তম স্প্যান।