বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ‘কমন ইলান্ড’ ও জেব্রা পরিবারে নতুন অতিথির আগমন ঘটেছে। করোনা মহামারির মধ্যে আগত নতুন দুই অতিথি সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছে পার্ক সূত্র।
আফ্রিকান প্রাণী কমন ইলান্ড বাচ্চা জন্ম দিয়েছে গত ১৮ মে। এটি কমন ইলান্ড পরিবারের দ্বিতীয় অতিথি। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে আসার পর প্রথম বাচ্চা প্রসব করে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম এন্টিলোপ জাতের এই প্রাণিটি তৃণভোজি। এদের গর্ভকাল সময় হচ্ছে ৯ মাস। একবারে একটি মাত্র বাচ্চা প্রসব করে।
পুরুষ কমন ইলান্ড ওজনে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৮শ’ কেজি, স্ত্রী কমন ইলান্ড ২শ’ ৮০ কেজি থেকে ৫শ’ কেজি হয়। তিন থেকে সাড়ে তিন বছরে গর্ভধারণ করে। নারী-পুরুষ উভয়ের খুব মজবুত শিং ওঠে, প্রাণীগুলো ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচে।
অন্যদিকে এপ্রিল ও মে মাসে পৃথক দু’টি জেব্রা শাবক জন্ম নিয়েছে। এরা অশ্ব প্রজাতির তৃণভোজী প্রাণী। এদের গর্ভকাল সময় হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ মাস। একবারে একটি বাচ্চা প্রসব করে। সড়কের জেব্রা ক্রসিং এদের শরীরের প্যাটার্ন থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হয়।
জেব্রা দলবেঁধে থাকতে ও চলতে পছন্দ করে। সাফারি পার্কের জেব্রাগুলোকে সাউথ আফ্রিকা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার আরো চার/পাঁচটি বাচ্চা পাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে সাফারি পার্কের পরিচালক (এসিএফ) তবিবুর রহমান।
পরিচালক বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, পার্কের ভিতরে বেশ কিছু বন্য শূকরের আগমন ঘটেছে। প্রায় শতাধিক শামুকখোল পাখির আগমনও চোখে পড়েছে। পাতি সরালির কয়েকটি দল এবং হাজার হাজার ওয়াটার বার্ডসের কলোনি হতে চলেছে সাফারি পার্ক। গাছে গাছে পানকৌড়ী পাখির বাসা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ময়ূরের ধারণাতীত প্রজনন হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে এক সময় এসব ময়ূর প্রকৃতির মধ্যে দেখতে পাওয়া যাবে। বিশ হাজার দেশীয় প্রজাতির ফলের গাছ আগামীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।