চালক-হেলপারের মাস্ক বাধ্যতামূলক, শর্ত ভাঙলে ব্যবস্থা: কাদের

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 20:38:35

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামীকাল (৩১ মে) থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। সরকারি ছুটির সঙ্গে মিল রেখে বন্ধ থাকা গণপরিবহনও চালু হতে যাচ্ছে আগামী সোমবার (১ জুন) থেকে।

বাস মালিক, শ্রমিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেছেন, বাসে ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করা হবে। অর্থাৎ অর্ধেক সিট খালি রাখতে হবে। যাত্রী উঠা নামার সময় সামাজিক দূরত্ব ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। যাত্রী পরিবহন শ্রমিক, চালক, চালকের সহকারী, কাউন্টার কর্মী সকলের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। যে সকল পরিবহন সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

শনিবার (৩০ মে) তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও ব্রিফিংকালে এসকল কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।

কাদের বলেন, সড়ক পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনে সকলেই সম্মতি দিয়েছেন। আমরা সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই। সামান্যতম উপেক্ষা ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই যে সকল শর্ত বিআরটিএ তথা মন্ত্রণালয় থেকে আরোপ করা হচ্ছে সে সব শর্ত নিজেদের স্বার্থে যথাযথভাবে প্রতিপালনে আমি যাত্রী সাধারণ, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসমূহকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, যাত্রী পরিবহন শ্রমিক, চালক, চালকের সহকারী, কাউন্টার কর্মী সকলকে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ টার্মিনাল এবং স্টেশনে সাবান ও পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে হাত ধোয়ার জন্য। ট্রিপ চালুর আগে ও শেষে যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। অনুমোদিত ও নির্দিষ্ট স্টেশন বা স্টপেজ ছাড়া পথিমধ্যে গাড়ি থামানো যাবে না বা যাত্রী উঠানো যাবে না। এসকল শর্তাবলী প্রতিপালনের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ থেকে যানবাহন ও যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে হবে। যে সকল পরিবহন সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রী মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে টার্মিনাল ভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠন ও কাউন্সিলিং করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট কার্যকর থাকবে বলেও জানান তিনি।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, করোনা আক্রান্ত ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২২তম। সংক্রমণের বিস্তার বাংলাদেশে ক্রম অবনতিশীল। সামনে কঠিন সময় আসছে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ কঠিন পরিস্থিতি বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের চেয়ে খারাপ অবস্থায় লকডাউন শিথিল করেছে। কেউ কেউ তুলে নিয়েছে। পাশাপাশি এ সময়ে দেশ ও অর্থনীতি বাঁচাতে হবে। এ কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার ওপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। ঢালাও সমালোচনা না করে সহযোগিতার হাত বাড়ান। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই সংকটের সাহসী কান্ডারি বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সকলের পাশে আছেন।

পদ্মা সেতু নিয়ে বলেন, দুর্যোগ ও সংকটের মাঝে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। শনিবার সকালে ৩০তম স্প্যান স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। এতে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর সাড়ে চার কিলোমিটার দৃশ্যমান হল। আর মাত্র ১১টি স্প্যান স্থাপনের কাজ বাকি রইল আগামী ২০ জুনের মধ্যে ৩১তম স্প্যান স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মূল সেতুর অগ্রগতি ৮৭ শতাংশ, নদী শাসন ৭১ শতাংশ সার্বিক অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর