করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নিরূপণ করে তাদের আর্থিক ও টেকনিক্যাল সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
তিনি বলেছেন, ‘উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের অফিস থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে হবে। পহেলা বৈশাখ ও ঈদে নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা পোশাক এবং তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে পারেনি। অনলাইনে এসব পণ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে।’
রোববার (৩১ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, দফতরর-সংস্থার প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এসব উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আজ থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। উপকূলীয় জেলাগুলোর উপর দিয়ে সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশুদের সহায়তা ও পুনর্বাসন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনায় বাস্তবতাকে মেনেই আমাদের কাজ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় শিশু পুরস্কার-২০২০ ও ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন। সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের অফিস খুলে দেওয়ায় শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলো সর্বোচ্চ সতর্কতা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চালু করতে হবে।’
এছাড়া দীর্ঘদিন ছুটির পর কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে আগত বোর্ডারদের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূর এনডিসি ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।