সারাদেশে বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। করোনার ভয়ে আতঙ্কিত মানুষ। তবে মানুষের জীবিকা পথ ও অর্থনৈতিক অবস্থা সচল রাখতে সবকিছু সীমিত পরিসরে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর চিত্র সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকায়। এরপরও ছুটি শেষে স্বাভাবিক প্রাণ ও চাঞ্চল্যতা ফিরছে রাজধানীতে। ঢাকায় প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও লঞ্চঘাটে উপচে পড়ছে ঢাকা ফেরত মানুষের ভিড়।
রোববার (৩১ মে) সকাল থেকেই মতিঝিল এলাকার অফিস পাড়ায় চোখে পড়েছে মানুষের ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলার চিত্র। শাপলা চত্বর এলাকায় মানুষ ও পরিবহনের বড়সড় জটলাও দেখা গেছে। এদিকে গাবতলী, ফার্মগেট, শাহবাগ ও মৎস্য ভবন এলাকায় চোখে পড়েছে কর্মজীবী মানুষের ভিড়। প্রকারভেদে ছোট বড় দোকান ও ফুটপাতেও দোকান বসতে দেখা গেছে।
ঢাকা ফেরত মানুষ ও পরিবহন পরিস্থিতির অবস্থা জানিয়ে ডিএমপি পশ্চিম ট্রাফিক জোনের দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘গণপরিবহন না চললেও গাবতলী, মাজার রোড ও মিরপুর এলাকায় সকালে লোক সমাগম হয়েছিল। সড়কে রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়িগুলোর চাপ ছিল বেশ।’
আগামী সোমবার (১ জুন) থেকে গণপরিবহন চালু হলে রাস্তায় আরও বেশি ব্যস্ততা বাড়বে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বসিলা, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় দু-একটি বাস চলতে দেখা গেছে তবে সেসব বাসের চালক ও সহযোগীর সঙ্গে কথা হলে তারা ট্রায়ালের জন্য রাস্তায় বাস নামিয়েছেন বলে জানান। এইসব এলাকাতেও বিকেলে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরা মানুষ দেখা গেছে।
এদিকে রোববার থেকে সীমিত আকারে লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল শুরু হলেও দূর পাল্লা ও স্থানীয়ভাবে গণপরিবহন চলাচল শুরু করবে আগামী সোমবার থেকে। মূলত সেদিন থেকে রাজধানী ঢাকা তার পূর্ণাঙ্গ স্বাভাবিকতা ফিরে পাবে বলেই মনে করছেন নগরবাসী।